Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৫ ১৪৩২

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ২১ অক্টোবর ২০২০

জামালপুরে এফসিপিএস ডাক্তারের নামে চলছে অপচিকিৎসা

সংগৃহীত

সংগৃহীত

জামালপুর শহরের উত্তর কাচারীপাড়া চামড়া গোদাম মোড় সংলগ্ন সিংহজানী স্কুল রোডে মুকুল হাজী মার্কেটে পলিপাস কেয়ার সেন্টারে চলছে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার কার্যক্রম।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৭/৮ মাস ধরে নানা রকম চটকদার বিজ্ঞাপনে নামে বেনামে এমবিবিএস, এফসিপিএস বিভিন্ন ডাক্তারের নাম ভাঙ্গিয়ে, কখনও নিজেই এমবিবিএস, এফসিপিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে  হাতুড়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে ভাক্তার পরিচয় দানকারী মো.মাইনূল হক। 

পলিপাস কেয়ার সেন্টারে অপচিকিৎসার এমনি অভিযোগ পাওয়া যায়। সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় বিভিন্ন পোস্টার ও ভিজিটিং কার্ডে ডা. মো. শাহ আলম খন্দকার এমবিবিএস( এফসিপিএস), ঢাকা এবং ডা. শাহ আলম গফূর এমবিবিএস (এফসিপিএস) পদবী দিয়ে দুই জন কথিত ডাক্তারের নাম ব্যবহার করে আসছেন।

এলাকাবাসী আরও জানান পোষ্টার, লিফলেট ও ভিজিটিং কার্ডে এফসিপিএস ডিগ্রী ধারী দুই জন ডাক্তারের নাম ব্যবহার করলেও একমাত্র মো. মইনুল হক ব্যতীত আর কেউ এই চেম্বারে রোগী দেখতে বসেন নি। তিনি বিজ্ঞাপন ও দালাল নিয়োগের মাধ্যমে জামালপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসা ও অপারেশন করে থাকেন।

বিজ্ঞাপনে যদিও বিনা অপারেশনে গ্যারান্টি সহকারে চিকিৎসা করার কথা লেখা থাকলেও বাস্তবে তা ভিন্নতা রয়েছে। জামালপুরে সপ্তাহে দুই দিন সোমবার ও বুধবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত এবং ঢাকার সাভার থানার হেমায়েতপুর এলাকার নতুন পাড়া রোডের চেম্বারে প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রোগী দেখেন।  

আবার কখনও শিক্ষিত ব্যক্তিদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে নিজেকে ডা. মো. মইনুল হক এলএমএফ ইন মেডিসিন, আবার কখনও এফ এ. ডা. মো. মইনুল হক ইন মেডিসিন আর এম পি পলিপাস প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঢাকা পরিচয় দিয়ে থাকেন।

এক অনুসন্ধানের মাধ্যমে তার ব্যবহৃত ভিজিটিং কার্ড ও পোষ্টার সংগ্রহ করে এর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। এই সব প্রতারণা, অনিয়ম ও বেআইনীভাবে তিনি চিকিৎসা কেন করছেন তা জানতে চাইলে তিনি এই ব্যাপারে সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি। তবে তিনি স্বীকার করেন তার এমন কৌশল অবলম্বন করা ঠিক হয়নি। 

এ বিষয়ে জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন কে, এম শফিকুজ্জামান বলেন আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  সাথে কথা বলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 

সারা জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এই অপচিকিৎসকদের দৌরাত্ত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কখনও বিভিন্ন উপায়ে তাদের কে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন তারা বহাল তবিয়তেই আছে।

প্রশ্ন জেগেছে সচেতন মানুষের মাঝে এদের হাত লম্বা কতদূর? আর এদের শেকড় কত গভীরে? এই দুর্নীতি, অনিয়ম অপকর্ম বন্ধ হবে কবে? তবে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসনের কাছে অপচিকিৎসা বন্ধ করতে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আইনিউজ/এ.এস.এম/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়