Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৫ ১৪৩২

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২ নভেম্বর ২০২০

পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা: খাদেমসহ আরও ৫ জন গ্রেফতার

মসজিদের খাদেম জোবেদ আলী

মসজিদের খাদেম জোবেদ আলী

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে মানসিকভাবে অসুস্থ আবু ইউনুস মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে ও পরে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় বুড়িমারী মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ (৬১) ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১০জনকে গ্রেপ্তার করা হল।

এর আগে প্রথম দফায় ৫জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আদালতে নেয় পুলিশ। এরপর সোমবার আরও ৫জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত মসজিদের খাদেমসহ ৫জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম দফায় গ্রেপ্তারকৃত ৫জনকে হত্যা মামলায় ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী।

আজ সোমবার রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় গ্রেপ্তারকৃত খাদেমসহ ৫জনকে সোমবার বিকেল নাগাদ আদালতে তোলা হতে পারে বলে পাটগ্রাম থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ ঘটনায় নিহত জুয়েলের চাচাতো ভাই সাইফুল আলম, পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা করেন।

ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ১০জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই বুড়িমারী এলাকার। আলোচিত তিনটি মামলায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

এর আগে প্রথম দফায় গ্রেপ্তাররা হলেন- ওই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আশরাফুল আলম (২২) ও বায়েজিদ (২৪), ইউফুফ আলী ওরফে অলি হোসেনের ছেলে রফিক (২০), আবুল হাসেমের ছেলে মাসুম আলী (৩৫) এবং সামছিজুল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫)।

এদিকে গতকাল রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মসজিদের কোরআন অবমাননার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত দলের পরিচালক আল মাহমুদ ফাউজুল কবির। ঘটনাটিকে স্রেফ একটি গুজব বলে তিনি জানান।

রোববার বিকেলে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ডাকবাংলো থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আল মাহমুদ ফাউজুল কবির বলেন, আমরা মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিম, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলেছি। এতে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, মৃত জুয়েল কোরআন অবমাননা করেননি। নিছক গুজব ছড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

ঢাকা গিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে আবু ইউনুস মো. সহিদুন্নবী জুয়েল নামে মানসিকভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে পরে তার লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে এক দল দুর্বৃত্ত।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়