Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১৫ ১৪৩২

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ৩ নভেম্বর ২০২০

রক্তক্ষরণে কিশোরী স্ত্রীর মৃত্যু: স্বামী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিয়ের ৩৪ দিন পর ১৪ বছরের কিশোরী নুর নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

রোববার বাসাইল থানায় মামলাটি করেন নিহত নুর নাহারের বাবা নুরু মিয়া। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত স্বামী রাজিব খান ও শাশুড়ি বিলকিস বেগমকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান বাসাইল থানার ওসি হারুনুর রশিদ।

নুর নাহারের বাবা মো. নুরু মিয়া বলেন, আমার মেয়ের স্বামী রাজিব খান ও শাশুড়ি বিলকিস বেগমের অবহেলায় নুর নাহারের মৃত্যু হয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই।

মো. নুরু মিয়া সখীপুর উপজেলার নলুয়া কলাবাগান গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় রিকশাচালক। মা পোশাক শ্রমিক। অভাবের সংসারে তার দিনমজুর নানা উপজেলার কাউলজানী ইউপির কলিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাল খান চার বছর বয়সে নুর নাহারকে নিজ বাড়ি নিয়ে আসেন। এরপর তাকে স্কুলে ভর্তি করান। নুর নাহার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার ফুলকি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ৩৪ বছর বয়সী ছেলে প্রবাস ফেরত রাজিব খানের সঙ্গে নুর নাহারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নানা লাল খানের প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ টাকার জোগান দেন তার আত্মীয়-স্বজনরা।

নুর নাহার প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়নি। অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হওয়ায় শারীরিক সম্পর্কের পরই তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নুর নাহার ও রাজিবের পরিবারে আলোচনা হয়। পরে রাজিবের পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রাম্য কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এতেও ফল না পাওয়ায় ২২ অক্টোবর নুর নাহারকে টাঙ্গাইলের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৪ অক্টোবর রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে তাকে নানা লাল খানের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়