Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ৫ ১৪৩২

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ২২ জানুয়ারি ২০২৩
আপডেট: ১১:০০, ২২ জানুয়ারি ২০২৩

সরকারী চাকরি দেয়ার নাম করে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাত!

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সরকারী চাকরি দেয়ার নামে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। নৌ বিভাগ, ট্রাফিক সার্জেন্টসহ সরকারের নানা দপ্তরে চাকরির কথা বলে তিন জনের সাথে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। 

গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) মাগুরা শালিখার বামনখালি গ্রামের ইন্দ্রজিত কর বাদী হয়ে যশোর আদালতে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু অভিযেগের তদন্ত করে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলো- মাগুরা শালিখার বামখালি গ্রামের কার্ত্তিক চন্দ্র সরকারের ছেলে কৃষ্ণ সরকার, ঝিনাইদহের মহেশপুরের বেগমপুর গ্রামের সিদাম হাওলাদারের ছেলে পাঁচু গোপাল, যশোরের মণিরামপুরের রামপুর গ্রামের বিজয় বিশ্বাসের ছেলে নারান চন্দ্র বিশ্বাস ও টাংগাইল নাগপুরের নাংগীনাবাড়ি গ্রামের মাইফুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ হোসেন।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে-  আসামি কৃষ্ণ সরকার ২০২০ সালের ২০, ২২ ও ২৭ তারিখের তিনটি পত্রিকা এনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বলে জানান ইন্দ্রজিত করকে। তার আত্মীয় এই অধিদফতরে চাকরি করে, তার মাধ্যমে এ বিজ্ঞপ্তিতে লোক নিয়োগ দেয়া যাবে বলে জানায়। 

কৃষ্ণ সরকারের কথায় বিশ্বাস করে তার আত্মীয় যশোর চৌগাছার মাশিলা গ্রামের সৃষ্টি হালদারের ছেলে সুজন কুমার, মাগুরা শালিখার দরিশলই গ্রামের বিশ্বজিত দাসের ছেলে নয়ন দাস ও যশোর শহরের ষষ্টিতলা পাড়ার নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে পার্থ বিশ্বাসকে চাকরির জন্য যোগাযোগ করে দেন। 

আসামিরা সুজনকে অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের মার্কম্যান, নয়ন দাসকে ট্রাফিক সুপারভাইজার ও পার্থ বিশ্বাসে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতের অফিস সহকারী পদে চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেন। চাকরির জন্য তিন জনের কাছে ৪২ লাখ টাকা দাবি করে আরেক আসামি পাচু গোপাল। অধিদফতরের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে সুজন কুমারের বাড়িতে এসে মৌখিক চুক্তিও করে যান। 

এরপর তাদের চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের জুন মাস থেকে ব্যাংক ও নগদে বিভিন্ন সময় ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেয়া হয়। কিন্তু আসামিরা তাদের চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়। পরে টাকা ফেরত চাইলে আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকে।

২০২২ সালের ১৭ মার্চ আসামি পাচু গোপালের বাড়িতে সালিশ হয়। সালিশে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে একটি চুক্তিনামা করা হলে আসামি পাচু গোপাল স্বাক্ষর না করে পালিয়ে যান। ওই বছরের ৫ অক্টোবর আসামিদের কাছে চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

আই নিউজ/এইচএ 

আইনিউজে আরও পড়ুন-


বিশ্বের মজার মজার গল্প আর তথ্য সম্বলিত আইনিউজের ফিচার পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

দুবাইয়ে লটারি জিতে একরাতে কোটিপতি বাংলাদেশী যুবক | দুবাই প্রবাসী

মানুষ হত্যা করেছে মা হাতিকে, দুধের জন্য কাঁদছে বাচ্চা হাতিটি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ