Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ১৩ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৮ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ১২ এপ্রিল ২০২৩

মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে যা লিখেছেন চঞ্চল চৌধুরী

দেশে বাংলা নতুন বছর ১৪৩০ বঙ্গাব্দের নববর্ষ উদযাপন নিয়ে দেশে চলছে পক্ষে-বিপক্ষের আলাপ। পহেলা বৈশাখে ঢাকার রাজপথে বের হওয়া ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন একজন আইনজীবী। দেশেও ঘোর আলোচনা-সমালোচনা চলছে এ নিয়ে। তবে এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী মনে করিয়ে দিয়েছেন, পহেলা বৈশাখ কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। পহেলা বৈশাখ সকল ধর্মের, সকল মানুষের উৎসব বলে মনে করেন তিনি। 

সম্প্রতি পহেলা বৈশাখ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। এরপর থেকেই এর প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। 

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লেখেন, 'পহেলা বৈশাখ' কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। বাঙালীর প্রাণের উৎসব। সকল ধর্মের, সকল মানুষের উৎসব। বাংলা বছরের প্রথম দিনে সবাই একত্রিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে। এখানে অংশগ্রহণ যার যার নিজস্ব ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিরোধীতা কাম্য নয়।

পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অসাংবিধানিক, বেআইনি ও কৃত্রিম উদ্ভাবিত 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' উল্লেখ করে তা বন্ধে গত ৯ এপ্রিল আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, ‘পহেলা বৈশাখ’ বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বাঙালি জনগণ একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে একটি কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে মুসলিম জনগনের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে এবং ইসলাম ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে যা দন্ডবিধির (Penal Code) এর ২৯৫-ক ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এই 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' বাঙালি সংস্কৃতির কোন অংশ নয়। এটা সম্পূর্ণ কৃত্রিম উদ্ভাবন। মূলত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামক কৃত্রিম কার্যকলাপের উদ্ভাবন করা হয়েছে।

উক্ত আইনি নোটিশ পাওয়ার পর অবিলম্বে এই অসাংবিধানিক, বেআইনি ও কৃত্রিম উদ্ভাবিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা‘ বন্ধে ব্যাবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে অন্যথায় এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।

আই নিউজ/এইচএ 


আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন

জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ