প্রকাশিত: ০৮:২৫, ১৪ জুলাই ২০১৯
আপডেট: ০৮:৩১, ১৪ জুলাই ২০১৯
আপডেট: ০৮:৩১, ১৪ জুলাই ২০১৯
আলোচিত রিফাত হত্যা : মিন্নিকে গ্রেফতারের দাবি শশুরের
বরগুনা : রিফাত শরীফকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় পুত্রবধু আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে দায়ী করে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাত আটটায় বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দুলাল শরীফ। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুলাল শরীফের বড় ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ শরীফ ও মেজ ভাই আব্দুস সালাম শরীফ।
দুলাল শরীফ বলেন, কুখ্যাত সন্ত্রাসী নয়ন বন্ডের সাথে বিয়ের বিষয়টি মিন্নির পরিবার গোপন রেখেছেন। বিয়ের পরেও মিন্নি নয়নের বাসায় আসা যাওয়া করতো। এমনকি রিফাত হত্যাকান্ডের আগের দিনও সকাল ৯টায় এবং সন্ধ্যায় মিন্নি নয়নের বাসায় যায়। মিন্নি অন্যান্য দিন রিফাতকে ছাড়াই কলেজে যেত। কিন্তু ঘটনার দিন মিন্নি রিফাতকে নিয়ে কলেজে যায়। আসার সময় রিফাত মিন্নিকে নিয়ে আসতে চাইলেও মিন্নি তার সাথে না এসে কালক্ষেপণ করে।
তিনি আরও বলেন, আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় রিফাত একা রিক্সা করে হাসপাতালে যাচ্ছিলো তখন মিন্নি ব্যস্ত ছিলো তার ব্যাগ ও স্যান্ডেল গোছানোর কাজে। আসামীদের একজনই মিন্নির হাতে তার ব্যাগ রাস্তা থেকে তুলে দেয়। রিফাত শরীফকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও মিন্নি সাথে যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে দুলাল শরীফ বলেন, মিন্নিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।
দুলাল শরীফ মামলার বাদী হিসেবে মিন্নিকেই এক নম্বর স্বাক্ষী কেনো করেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি বলেন, তখন তিনি জানতেন না মিন্নির সাথে নয়ন বন্ডের বিয়ে হয়েছিলো বা যোগাযোগ আছে। শারীরিক অসুস্থতার কারনে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে মিন্নির বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, মিন্নির সাথে নয়নের কখনোই বিয়ে হয়নি। তাদের কোনো যোগাযোগও ছিলো না।তবে অস্ত্রের মুখে দাড় করিয়ে মিন্নির কাছ থেকে একবার একটা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছিলো নয়ন বন্ড –এমন কথা জানান মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। তবে এ বিষয়ে কোন পুলিশি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
মিন্নির বাবা আরও বলেন, রিফাত শরীফকে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি নিজে সাথে অ্যাম্বুলেন্সে করে গেছেন। রিফাতের লাশ ময়নাতদন্ত করা করার সময় রিফাতের বন্ধুরা তার উপর চড়াও হয়। মিন্নির বাবা মনে করেন, রিফাতের বন্ধুরাই দুলাল শরীফকে দিয়ে এসব কথা বলাচ্ছে।
এ বিষয়ে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর আরও জানান, রিফাত শরীফকে যেদিন বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয় সেদিন তিনি নিজে রিফাতের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে গেছেন। সেদিন রিফাতের লাশ ময়নাতদন্তের সময় রিফাতের সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকি তাঁর ওপর চড়াও হন। সেই বন্ধুরাই রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফকে দিয়ে এসব করাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
সেদিন রিফাতের লাশ ময়নাতদন্তের সময় রিফাতের সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকি তাঁর ওপর চড়াও হন। সেই বন্ধুরাই রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফকে দিয়ে এসব করাচ্ছে বলে মনে করেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন।
মোজাম্মেল আরও বলেন, রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফের হৃদযন্ত্রে রিং পড়ানো আছে, তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই তার কথার কোন ভিত্তি নেই। মিন্নি অপরাধী কি না তা পুলিশের তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।
এসডি/ইএন
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
সর্বশেষ
জনপ্রিয়