আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট: ১৭:৪২, ১৬ আগস্ট ২০২১
কাবুলে ভয়-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কেটেছে রাত

আফগানিস্তানে নতুন সকাল হয়েছে। দেশটির বাসিন্দারা ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটিয়েছেন সারারাত। দিনের আলোতেও ঘোর কাটছে না, ক্ষমতায় তালেবান।
প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগ ও তালেবানের কাবুল দখলের পর আসলে দেশটিতে কী হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
আফগানিস্তানের সরকার ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। হাজার হাজার আফগান বাসিন্দা আর বিদেশি নাগরিক কাবুল থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিমানবন্দরে হযবরল অবস্থা তৈরি হয়েছে।
৬০টির বেশি দেশ এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা আর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে। যারা চলে যেতে চান, তাদের নিরাপদে যেতে দেয়ার জন্যও তালেবানদের প্রতি তারা অনুরোধ জানিয়েছেন।
দিনের শুরুতেই দূতাবাস খালি করার কাজ শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং কূটনৈতিক ভবনগুলো থেকে পতাকা নামিয়ে নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, তাদের সৈন্যরা কাবুলের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় নারীদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকার কর্মীরা। ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে যে, তালেবানরা দেশের অনেক এলাকায় বেশ কিছু পরিবর্তন কার্যকর করতে শুরু করেছে।
প্রতিশোধ নেয়া হবে না বলে তালেবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটা তারা রাখবে কিনা, তা বিশ্বাস করার মতো সময় এখনো আসেনি বলে বলছেন বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক বিকাশ পান্ডে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের উপ-পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলছেন, ২০২১ সালের তালেবান জনসংযোগসহ নিজেদের আলাদাভাবে উপস্থাপন করছে। দেখা যাচ্ছে, বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য তাদের ইংরেজি ভাষী মুখপাত্র আছে, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরির চেষ্টা করছে।
তিনি বলছেন, যেহেতু এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, সুতরাং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক হওয়ার দরকার রয়েছে। আমাদের মনে রাখা ভালো যে, আমরা একটি নিষ্ঠুর জঙ্গি বাহিনীর কথা বলছি, যাদের রক্তপাতের অতীত রয়েছে।
তিনি মনে করেন, তালেবান যখন সরকার পরিচালনা শুরু করবে, তখন বিশ্বের দেশগুলো কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সেটা জানতে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। ওই এলাকা ঘিরে ভূ-রাজনৈতিক জোটের বড় ধরনের একটি পালাবদল আমরা দেখতে পাবো।
কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর অবশ্য তালেবান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। মেয়েদের সম্মান রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাদের শিক্ষার অধিকারের কথা জানিয়েছে। কোনো রক্তপাত ঘটানো হবে না এবং কারো সম্পদের ক্ষতি করা হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা সময়ই বলে দেবে।
আইনিউজ/এসডি
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা মারা গেছেন
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- বিবিসির প্রতিবেদন
ভিডিও-নগ্ন ছবি যৌনতার গোপন ব্যবসার সন্ধান