আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট: ২০:১২, ২২ আগস্ট ২০২১
আফগানিস্তানের তালেবান ইস্যু নিয়ে এতো উৎসাহী কেন রাশিয়া?

আফগানিস্তানে চলছে তালেবানদের শাসন। ক্ষমতা দখল করে এখন তালেবানরা সেই ক্ষমতা বিস্তারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, বিশ্ব রাজনীতিতে যার প্রভাব পড়ছে ব্যাপকভাবে। আর পড়বে না ই বা কেনো? এই তালেবানের ইস্যুতে সরাসরিই যেন জড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীনের মতো বড় বড় দেশের নাম।
এমন অবস্থায় অনেকের মাথাতেই প্রশ্ন আসছে, তালেবানের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার ব্যাপারে রাশিয়া ইতিবাচক হয়ে আছে কেনো? তালেবানরা কাবুল দখল নেওয়ার পর অনেক দেশ তাদের দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কিন্তু রাশিয়া কাবুলে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেনি। এবং তালেবান নেতাদের প্রতি তাদের বক্তব্য ছিল বেশ ইতিবাচক।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির বরাতে জানা যায়, কাবুল দখলের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনফ তালেবানের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করেছেন। এরপর তিনি বলেছেন, তালেবান যোদ্ধারা যে কোনো ধরনের প্রতিশোধ নিচ্ছে কিংবা কোনো সহিংসতা চালাচ্ছে এমন কোন প্রমাণ তিনি দেখতে পাননি।
রাশিয়া এই মুহূর্তেই তালেবানকে আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও তালেবানের প্রতি মস্কোর সরকারের মনোভাব বেশ ইতিবাচক। রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা তাস তাদের রিপোর্টে চলতি সপ্তাহ থেকে তালেবানকে বর্ণনা দিতে গিয়ে 'সন্ত্রাসবাদী' শব্দের জায়গায় 'কট্টরপন্থী' শব্দটি ব্যবহার করছে।
এদিকে জাতিসংঘে মস্কোর দূত ভাসিলি নেবেনজিয়াও আফগানিস্তানে আপোষের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা বলেছেন। "বহু বছরের রক্তপাত অবসানের" পর সে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আফগানিস্তানের ব্যাপারে রাশিয়ার নীতিমালার গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সে দেশের সাথে তার নিজের ইতিহাস। মস্কো চায় মধ্য এশিয়ায় তার মিত্র দেশগুলোর সীমান্ত নিরাপদ রাখতে এবং সন্ত্রাসবাদের প্রসার ও মাদক পাচার রোধ করতে।
গতমাসে মস্কোর সরকার তালেবানের কাছ প্রতিশ্রুতি আদায় করে যে আফগানিস্তানে দখল নেওয়ার পর তা কোনভাবেই রাশিয়ার মিত্র দেশগুলোর জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে না। এবং তালেবান আইএস এর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে।
কূটনৈতিক গবেষণা সংস্থা রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর আন্দ্রেই কর্তুনফ বলেন, আফগানিস্তানে ঘাপটি মেরে থাকা আল কায়দা কিংবা আইএস-এর কোন গোষ্ঠী মধ্য এশিয়ায় তৎপরতা চালাতে উৎসাহ দিতে পারে।
মনে করেন, পুরো আফগানিস্তানের ওপর শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তালেবান হিমশিম খাবে, বিশেষভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে। সেটা ঘটলে রাশিয়া এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলো হুমকির মুখে পড়তে পারে।
আইনিউজ/এসডি
আইনিউজ ভিডিও
তালেবানদের নৃশংসতা: সাংবাদিককে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যকে হত্যা
তালিবানি যুগের আগে যেমন ছিলেন আফগান নারীরা
তালেবান-আফগান ইস্যুতে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা মারা গেছেন
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- বিবিসির প্রতিবেদন
ভিডিও-নগ্ন ছবি যৌনতার গোপন ব্যবসার সন্ধান