১৫ নভেম্বর ৮’শ কোটি জনসংখ্যার মাইলফলক স্পর্শ করবে বিশ্ব

আমাদের এ বিশ্বে প্রতি মুহুর্তে জন্ম নিচ্ছে নতুন বাচ্চা আবার মৃত্যুবরণও করছেন বহুজন। জন্ম-মৃত্যুর এই হিসাব শেষে প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে পৃথিবীতে জনসংখ্যা। আগামী ১৫ নভেম্বর সে সংখ্যা বেড়ে ৮০০ কোটিতে দাঁড়াবে। অর্থাৎ ৮০০ কোটি জনসংখ্যার মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে বিশ্ব।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং ওষুধের উন্নতির কারণে অভূতপূর্ব এ জনসংখ্যার মাইলফলক সৃষ্টি হবে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি হতে ১২ বছর সময় লেগেছে। তবে ৯০০ কোটি হতে প্রায় ১৫ বছর (২০৩৭ সাল পর্যন্ত) সময় লাগবে। কারণ, বিশ্ব জনসংখ্যা বাড়ার সামগ্রিক হার ধীর হয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাতালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি জনসংখ্যা মানব সভ্যতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ জন্য গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশু মৃত্যুহার কমে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘তবে, আমি জানি যে এই মুহূর্তটি সবাই উদ্‌যাপন করবে না। বিশ্বে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বলে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আমি এখানে স্পষ্টভাবে বলতে চাই মানুষের এই সংখ্যা ভয়ের কোনো কারণ নয়।’

• ‘ও গাড়ি হর্ন থামাও, পড়তে দাও’- স্কুল শিক্ষার্থীদের আকুতি

অধিক এ জনসংখ্যা কি পৃথিবীর জন্য বোঝা হয়ে দাাঁড়িয়েছে? অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, প্রশ্নটি ভুল। অতিরিক্ত জনসংখ্যা ভীতির পরিবর্তে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের গ্রহের সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারের দিকে নজর দেয়া উচিত।

রকফেলার ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনের জোয়েল কোহেন বলেন, কাদের জন্য অনেক বেশি, কিসের জন্য অনেক বেশি জনসংখ্যা? আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি কি অনেক বেশি মনে করি? না, আমি তা মনে করি না। তিনি বলেন, পৃথিবী কতজন মানুষের ভার বহন করতে পারে তার দুটি দিক রয়েছে, প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা এবং মানুষের পছন্দ।

আইনিউজ/এইচএ

আইনিউজে আরও পড়ুন-

• ২০ হাজার গানের জনক গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও তার কীর্তি
• প্রেম-ভালোবাসার ১০ উপকারিতা : শ্রেষ্ঠ কিছু প্রেমের গল্প
• কোমরে বাশি, হাতে তালি — গানই মদিনা ভাই’র জীবন-মরণ