Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৫,   কার্তিক ২২ ১৪৩২

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
আপডেট: ১৯:২১, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

শিশুদের জন্য উপকারী কোয়েলের ডিম

কোয়েল পাখি ও ডিম

কোয়েল পাখি ও ডিম

মুরগির ডিম পৃথিবীতে বহুল অংশে প্রচলিত হলেও কোলেস্টেরলের কারণে অনেকেই খেতে পারেন না। এছাড়া মুরগির ডিমে আছে বাড়তি হৃদরোগের ঝুঁকি। এর বদলে খেতে পারেন কোয়েলের ডিম। এটি শিশুদের জন্য খুবই উপকারী।

অন্যান্য ডিমের তুলনায় কোয়েলের ডিম পুষ্টিগুণের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। কোয়েলের ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। 

প্রোটিন ছাড়া আরও মিলবে ফসফরাস, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ফলেট, ভিটামিন এ, ই, ডি এবং বি-১২। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক শিশুদের কেন কোয়েলের ডিম খাওয়ানো জরুরি সে সম্পর্কে- 

মুরগির ডিমের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরল ১.৪ % আর মুরগির ডিমে ৪ % এবং প্রোটিনের পরিমাণ মুরগির ডিম থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশি। 

এই ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে এই ডিম শরীরের সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেয়। 

কোয়েলের ডিমে ভিটামিন বি -১ এর পরিমাণ মুরগির ডিম থেকে ছয়গুণ বেশি, আয়রন ও ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশি, ভিটামিন বি -২ পনেরো গুণ বেশি। 

কোয়েলের ডিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে।

হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সচল রাখতে পারে কোয়েলের ডিম। 

বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে থাকে কোয়েলের ডিম। দুর্বল বাচ্চা থেকে বৃদ্ধারা প্রতিদিন তিন চারটা করে কোয়েলের ডিম খেতে পারেন। 

চীনারা কোয়েলের ডিমকে টিবি, অ্যাজমা এবং ডায়াবেটিস রোগের পথ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। 

কিডনি ও লিভারের সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কোয়েলের ডিম। 

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়