Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

হেলাল আহমেদ, আই নিউজ

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১০ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ : কোথায় কখন আঘাত হানবে? 

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় লঘূচাপে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বর্তমানে চলছে তুমুল আলোচনা। ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়াও চিন্তায় আছেন ভারতের কিছু জায়গার বাসিন্দারাও। আলোচনার কেন্দ্রে মূলত, ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কখন, কোথায় আঘাত হানতে পারে তা নিয়ে। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভারতে ইতিমধ্যে কিছু জায়গায় সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এ ঘূর্ণিঝড়টি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নাকি ভারতে আঘাত হানবে তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। 

দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে লঘুচাপটি মঙ্গলবারের (৯ মে) মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ও ১১ তারিখের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আর ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য বলছে লঘুচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং সেটি উত্তর দিক বরাবর অগ্রসর হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে। এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ বা মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তবে ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কোথায় আঘাত করতে পারে তা জানাতে না পারলেও কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলছেন, দুটি আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বিশ্লেষণ করে তিনি দেখেছেন ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনাই বেশি এবং ভোলা থেকে কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী স্থান নিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।

সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকের কথা সত্যি হলে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল বেগে আঘাত হানতে পারে ভোলা ও কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী কোনো উপকূলীয় জনপদে। আর ঘূর্ণিঝড়টি ১১ মে তারিখে আগাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস। 

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি প্রাথমিকভাবে ১১ই মে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এরপর ধীরে ধীরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন মডেলও নির্দেশ করছে যে ঘূর্ণিঝড়টি ১২ই মে উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলের দিয়ে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

তবে সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কামাল পলাশ বলছেন, ১২ তারিখে এটি সর্বোচ্চ শক্তিতে থাকবে এবং আমেরিকান মডেল অনুযায়ী ১৩ তারিখের দিন শেষে বা ১৪ই মে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার সম্ভাবনা থাকবে। 

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়