আই নিউজ ডেস্ক
শ্রমিকদের বেতন ন্যূনতম ১২ হাজার ৫০০ প্রস্তাব দিয়েছে মালিকপক্ষ
ন্যুনতম মজুরি বোর্ডের সঙ্গে শ্রমিক প্রতিনিধি দলের বৈঠক। ছবি- সংগৃহীত
পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ন্যূনতম ১২ হাজার ৫০০ টাকার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের মালিকপক্ষ। ন্যুনতম মজুরি বোর্ডের আজকের সভায় মালিকপক্ষ ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুপুর ১২টায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা আসেন। কিছুক্ষণ পরেই মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা বৈঠকে প্রবেশ করেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষ হয় বেলা দেড়টায়।
ন্যূনতম মজুরি শেষমেশ কত হবে তা চূড়ান্ত করবে শ্রম মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে মজুরির বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবে শ্রম মন্ত্রণালয়। ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরির মধ্যে ৬৩ শতাংশ মূল মজুরির প্রস্তাব করা হয়।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ম্যাপড ইন বাংলাদেশ, সিপিডি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে একজন পোশাক শ্রমিক গড়ে ৭২.৪০ ডলার মজুরি হিসেবে পান। বিপরীতে ভিয়েতনামের শ্রমিকরা মজুরি পান ১৭০.৩৫ ডলার। যা বাংলাদেশি শ্রমিকদের মজুরির প্রায় ডাবল। এ ছাড়াও, চীনের শ্রমিকরা পান ৩০০ ডলার, ভারতে ১৭১.১৮, ইন্দোনেশিয়ায় ২৪২.৯৪ ডলার এবং কম্বোডিয়ার পোশাক শ্রমিকরা মজুরি পান ২০০ ডলার।
প্রসঙ্গেত, গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দেশের পোশাকশ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছেন। ফলে বেশকিছু কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে চলতি সপ্তাহ থেকে বন্ধ কারখানাগুলো চালু হতে শুরু করে।
শ্রমিক মজুরিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ
বিভিন্ন পত্র পত্রিকার বলছে, গত দশ বছরেই (২০১৩ থেকে ২০২২ সাল) তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি বেড়েছে ১৩০ শতাংশ। ব্যবসা বাড়ার পাশাপাশি সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে দেশের পোশাক শিল্প। রয়েছে এই শিল্পের জন্য নগদ সহায়তা, মূসক অব্যাহতি, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়া এবং শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুবিধাও রয়েছে। তবে এতোকিছুতে বাংলাদেশের পোশাক খাত এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে রয়েছে কেবল শ্রমিকের মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে।
পোশাক শিল্পে বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভারত, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তান। এর মধ্যে অনেক দেশের পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। তবু, শ্রমিকের মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে এই সবগুলো দেশ এগিয়ে আছে বাংলাদেশের থেকে। এইসব দেশের পোশাক শ্রমিকরা বাংলাদেশের শ্রমিকদের থেকে বেশি মজুরি পান।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ম্যাপড ইন বাংলাদেশ, সিপিডি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে একজন পোশাক শ্রমিক গড়ে ৭২.৪০ ডলার মজুরি হিসেবে পান। বিপরীতে ভিয়েতনামের শ্রমিকরা মজুরি পান ১৭০.৩৫ ডলার। যা বাংলাদেশি শ্রমিকদের মজুরির প্রায় ডাবল। এ ছাড়াও, চীনের শ্রমিকরা পান ৩০০ ডলার, ভারতে ১৭১.১৮, ইন্দোনেশিয়ায় ২৪২.৯৪ ডলার এবং কম্বোডিয়ার পোশাক শ্রমিকরা মজুরি পান ২০০ ডলার।
প্রত্যেকবার মজুরি বাড়ানোর সময় বিভিন্ন অজুহাতে মালিকপক্ষ কম মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা মজুরি প্রস্তাব করলেও মালিকপক্ষ বিপরীতে প্রস্তাব দেয় তাদের দাবির প্রায় অর্ধেক বা ১০ হাজার ৪০০ টাকা। ফলে, ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়ার পর মালিকপক্ষ বোর্ডে নতুন মজুরি প্রস্তাব দেয়ার প্রস্তিশ্রুতি দিয়েছে। তার আগে শ্রমিকদের আন্দোলন-বিক্ষোভে দুই জন কিশোর পোশাক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের