মো. ফরহাদ হোসেন, রাজনগর (মৌলভীবাজার)
রাজনগরের আখালি নদী এখন যেন ময়লার ভাগাড়!

আখালি নদীতে বর্তমানে বাজারের নানা ধরনের বর্জ্য ফেলে ভরে ফেলা হচ্ছে। ছবি- আই নিউজ
একসময় আখালি নদীতে নৌকা চলতো। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজারে রোববার হাটের দিন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তরিতরকারী ও সবজি নিয়ে আসতেন মৌসুমী চাষীরা। দূরদূরান্তের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এ নদী দিয়ে পন্যসামগ্রী নিয়ে যাতায়াত করতেন।
কালক্রমে এটি এখন হয়ে গেছে খালের মতো। বর্ষামৌসুমে নদীতে পানির প্রবাহ থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না। বিভিন্ন পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। আখালি নদীটি যেন এখন হয়ে গেছে ময়লার ভাগাড়! নদীটি রক্ষায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে জলজপ্রাণীসহ পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মত স্থানীয়দের।
সরজমিনে দেখা যায়, আখালি নদীর টেংরা বাজার অংশে পারাপারের জন্য ব্যবহৃত ব্রিজের নিচে নদীতে ফেলা হয়েছে বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির বিভিন্ন পচনশীল ও অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা। পলিথিন, টুকরা কাপড়, আশপাশের বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা, বাজারের ময়লা, নষ্ট ও পঁচাবাসি খাদ্যপন্য থেকে শুরু করে সেলুনের ধারালো ব্লেড, চুল সব বর্জ্যই এই ব্রিজের উপর থেকে নদীতে ফেলা হয়। ফলে নদীর সামান্য পানিটুকুও কালচে রঙ ধারণ করেছে।
প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য ফেলার কারণে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নদীর প্রবাহ। দূষিত এসব বর্জ্য দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। ফলে স্কুল কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে পথচারী সবাই পড়ছেন ভোগান্তিতে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি ছড়া থেকে আখালি নদীটির উৎপত্তি হয়েছে। এই নদীটি লংলা, রাজনগর চাবাগান হয়ে টেংরা বাজারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হাকালুকি হাওরে গিয়ে মিশেছে। নদীতে আগে মাছ পাওয়া গেলেও এখন খুব বেশি মাছের দেখা মিলে না। ময়লা-আবর্জনা ফেলায় ও দীর্ঘদিন ধরে নদীটি পূনঃখনন ও সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় বর্ষাকালে দুই-তিন মাস পানি থাকলেও পরে শুকিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাজারের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা না ফেলে অনেকে নদীতে ফেলছেন। প্রায়ই এই ব্রিেিজর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় দূর্গন্ধ বের হয়। বাজারে আসা লোকজন ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এই দূষণের শিকার হন।
টেংরা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম তরফদার বলেন, প্রশাসন থেকে বাজারের ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা দেয়া হয়নি। আপাতত বাজারের পূর্বপাশে একটি জায়গায় ফেলা হচ্ছে। সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা করে দিলে আমাদের উপকার হতো। ব্রিজের নিচে ময়লা ফেলার বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। বিষয়টি আমি গিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, ময়লা-আবর্জনা নদীতে ফেলার কথা না। বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি। প্রয়োজনে নদী রক্ষা কমিশিনকেও এব্যাপারে জানাবো।
আই নিউজ/এইচএ
ঘুরে আসুন আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেল
নীচের ভিডিও দেখতে Watch on YouTube অপশনে ক্লিক করুন
এক চা শ্রমিকের লেখাপড়ার গল্প চোখে পানি এনে দেয়
- দুলাভাইয়ের ধর্ষণের শিকার শ্যালিকা
- মৌলভীবাজারের রাজনগরে
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বিধবা রুবির বিউটি পার্লার - `প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে আমাদের ধোকা দেওয়া হচ্ছে`
- রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে কমলগঞ্জে রাস উৎসব শুরু
- কমলগঞ্জে মাদকবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার