হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট: ১৩:৪৬, ১৭ আগস্ট ২০২২
শ্রমিকদের আন্দোলনে অচল চা বাগানগুলো
মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে দেশের ১৬৭ টি চা বাগানে শ্রমিকদের কর্মবিরতি। - সাম্প্রতিক ছবি
হবিগঞ্জ জেলার চা বাগানগুলোতে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গতকাল শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে শ্রীমঙ্গলে আসেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। তিনি ধর্মঘট স্থগিত করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালে চা শ্রমিক ইউনিয়ন তা প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে চা শ্রমিকরা।
এদিকে মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় শ্রীমঙ্গল বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শ্রম অধিদপ্তরের মহা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খালেদ মামুন চৌধুরী এনডিসি।
এই বৈঠকে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশন ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। এই বৈঠকে সংকট নিরসন করা যাবে বলে তিনি মনে করেন।
আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকায় মজুরি নিয়ে বসে কথা বলবেন সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ। এদিকে হবিগঞ্জ জেলার ৪১টি চা বাগানে শ্রমিকরা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। তাদের একটাই দাবি শ্রমের মজুরি দৈনিক ৩০০ টাকা দিতে হবে, না হলে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। শ্রমিক ধর্মঘটে চা বাগানের উৎপাদন বন্ধ আছে। এতে লাখ লাখ টাকার পাতার ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় অচল হয়ে পড়েছে চা বাগানগুলো
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের চানপুর চা বাগানের বাসিন্দা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, আলোচনার জন্য ঢাকায় বসা হবে। সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু শ্রমিকরা আন্দোলনের যে পর্যায়ে আছেন, সেখান থেকে ফেরা কঠিন। তৃণমূল পর্যায়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে, সেখান থেকে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা আসা ছাড়া ফেরা যাবে না। শ্রমিক নেতারা বলেন, দীর্ঘ ১৯ মাস থেকে তাদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে মালিকপক্ষ কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। দুই বছর পরপর মজুরি বৃদ্ধির করার কথা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন জেলার চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এ টাকা অত্যন্ত অপ্রতুল। তাই মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত তারা দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের ১০ জন শ্রমিক নেতার সঙ্গে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম দফতরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসলেও আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি। তাই শনিবার (১৩ আগস্ট) থেকে টানা ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিকরা।
চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাট, মাধবপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার ৭০৩.২৪ হেক্টর জমিতে ২৫টি ফ্যাক্টরিযুক্ত চা বাগান রয়েছে। এছাড়া ফাঁড়িসহ প্রায় ৪১টি বাগানের প্রায় প্রতি হেক্টর জমিতে ২২-২৫ শ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়। এসব বাগানে বছরে ১ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ চা বোর্ড ও চা-শ্রমিক ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সবমিলিয়ে ২৫৬ টি চা-বাগান আছে।
এতে নিবন্ধিত শ্রমিকের সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজারের উপরে। অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৩০ হাজার। দেশে মোট চা শ্রমিক পরিবারের বাসিন্দা প্রায় ৮ লাখ। এরমধ্যে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার। বাগানে কাজ না পেয়ে হাজার হাজার শ্রমিক বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
আইনিউজ/এসকেএস
দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি
লাউয়াছড়ার অতি পরিচিত চশমাপরা হনুমান মারা গেছে, কাঁদেলন বনবিভাগের কর্মকর্তা | Lawachhara | Eye News
সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার-হরিণ-কুমির অসংখ্য প্রজাতির আবাসস্থল | Sundarban | Tiger | Eye News
আদিবাসী জনগোষ্ঠির সংস্কৃতি । Indigenous Culture । Eye News
নয় বছরের মেয়েটি কিভাবে নেভায় একের পর এক আগুন?
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’