Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০২ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩২

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৫১, ১০ জুলাই ২০২২
আপডেট: ১৯:১০, ১০ জুলাই ২০২২

‘বানভাসী মানুষের মুখ, আমার প্রিয় স্বজনের মুখ’

`বানভাসী মানুষের মুখ, আমার প্রিয় স্বজনের মুখ'- এমন বোধ নিয়ে মৌলভীবাজারের বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য ঈদের দিনে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি কিরে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

জেলার ৩টি উপজেলায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের জন্য কুরবানির গরু জবাই করা হয়। দেওয়া হয় গরুর গোশতের রান্না করা খাবার। জেলা প্রশাসক (ডিসি) মীর নাহিদ আহসান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের মধ্যে গরুর গোশত এবং রান্না করা খাবার বিতরণ করেন। দুর্গত মানুষের খুঁজ-খবর নেন।

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী- দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিয়েছে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরবেষ্টিত কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা। পুরো জেলায় পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৫৯ হাজার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা কমবেশ প্রায় ১৫ হাজার। জেলার ১২৯ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

রোববার (১০ জুলাই) আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুরবানির মাংস এবং বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। পরিবেশন করা হয় কুরবানির গোশত দিয়ে রান্না করা খাবার। সরেজিমনে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে গরুর গোশত বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এবং উপজেলা নির্বাহি অফিসারগণ।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানকে ঈদের দিনে কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুরে বন্যা দুর্গত মানুষের মধ্যে কুরবানির মাংস বিতরণ করতে দেখা যায়। কাদিপুর ইউনিয়নের বানভাসী মানুষের মাঝে এই কোরবানীর পশুর মাংস বিতরণ করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। 

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান আই নিউজকে বলেন- ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার মহান ঈদ-উল-আযহার দিনে ভাতৃত্ববোধের জায়গা থেকে বানভাসী মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছি। বড়লেখা, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত দুর্গত মানুষের জন্য আলাদা আলাদা গরু জবাই করে বিতরণ করা হয়। এছাড়া রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন- জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক দুর্গত মানুষের পাশে ছিলো। তাদের ত্রাণ-খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ঈদের দিনেও তাদের জন্য কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছে। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সার্বিক খুঁজ-খবর নিয়েছি। 

এদিকে জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানাকে বন্যা দুর্গত মানুষের মধ্যে বিশেষ খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়।

আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে দেখুন মজার সব ভিডিও 

 

মহিষের দাম ১৩০ টাকা ? কুরবানির হাটে মহিষের ব্যাপক চহিদা || Eye News

মহিষ ব্যবসা করে আট বছরেই কোটিপতি || New Vairal Funny interview | Bangla funny News Video | Eye News

কুরবানির বাজারে দেখা মিললো বিরল বনগরু | Eid lasted cow market update | Goyal | Bison || Eye News

আরও পড়ুন
Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়