মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট: ১১:১৬, ২২ আগস্ট ২০২২
চা বাগানে শ্রম অসন্তোষ নিরসনে যৌথ বিবৃতি
৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিক আন্দোলন। ছবি : সাজু মারছিয়াং
চা বাগানে শ্রম অসন্তোষ নিরসনে প্রশাসনের সাথে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের জরুরি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আগের দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী দুর্গা পূজার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে আলাপ করে নতুন মজুরি নির্ধারন করা হবে।
রোববার (২১ আগস্ট) রাতে নিজ কার্যালয়ে চা-শ্রমিক নেতাদের সাথে জরুরি বৈঠক করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। বৈঠকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর উপ-পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল, সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি, বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা, কমল চন্দ্র বোনার্জি, নির্মল দাশ পাইনকাসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে জেলা প্রশসক মীর নাহিদ আহসানের প্যাডে একটি যৌথ বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। বিবৃতিতে চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক স্বাক্ষর করেন।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ-সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- ধর্মঘট প্রত্যাহার করে করে আগের ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে ফিরবেন চা শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে দ্রুত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্স পরবর্তীতে মজুরি নির্ধারণ হবে। ধর্মঘট চলাকালীন ১০ দিনের মজুরিসহ সকল সুবিধাদি মালিকপক্ষ দেবেন।
যৌথ বিবৃতিতে যা লেখা হয়েছে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তার সম্মানে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ২২ আগস্ট থেকে কাজে যোগদান করবেন। আপাতত চলমান মজুরি অর্থাৎ ১২০ টাকা হারেই শ্রমিকগণ কাজে যোগদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স পরবর্তীতে মজুরির বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে।আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হওয়ার জন্য চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আবেদন করবেন যা জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপস্থাপিত হবে। চা-শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিসমূহ লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করবেন। জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার জন্য তার কার্যালয়ে পাঠাবেন। এছাড়া বাগানমালিকরা বাগানের প্রচলিত প্রথা/দর মোতাবেক ধর্মঘটকালীন মজুরি শ্রমিকদের পরিশোধ করবেন।
তরুণ নেতাদের ধর্মঘট প্রত্যাখান
তবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত অনেক চা-শ্রমিক নেতারা প্রত্যাখান করেছেন। বিশেষ করে তরুণ নেতাদের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করতে দেখা যায়। অনেকেই ফেসবুকে এ বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট তরুণ চ-শ্রমিক নেতা মোহন রবিদাশ বলেন- ‘চা কোম্পানিদের নানামুখী ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই...। আমাদের দাবি (৩০০ টাকা) না মানা পর্যন্ত চা বাগান খুলবে না, আন্দোলনও স্থগিত হবে না। এতে আমাদের জেল,ফাঁসি যাই হোক। মরলে রাজপথেই মরবো, কিন্তু কোন অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নিবো না।’
রাজিব গোয়ালা বলেন- ‘যতোই মিটিং করুন রাজপথের সংগ্রাম চলছে চলবে..ন্যায্য দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত, খেলা হবে রাজপথে। স্বপন নাইডু বিবৃতির কপি দেখিয়ে বলেন- ‘আন্দোলনের ফসল। যে ফসল ঘরে তুলা হয়নি অথচ আন্দোলন শেষ।
চা শ্রমিক আন্দোলন
উল্লেখ্য ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে দেশের ১৬৭ চা-বাগানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন চা শ্রমিকরা। এ পরিস্থিতিতে সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও একজন সংসদ সদস্যের সাথে বৈঠকে বসে শনিবার (২০ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত নিপেন পাল। তখন ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৭ টায় ফের তিনি ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’