হেলাল আহমেদ, আইনিউজ
আপডেট: ১৪:১১, ২৩ জানুয়ারি ২০২১
মৌলভীবাজারে ৫৪২ গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এসব ঘরের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘স্বপ্ননীড়’, কোথাও নামকরণ হচ্ছে ‘শতনীড়’, আবার কোথাও ‘মুজিব ভিলেজ’
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মৌলভীবাজারে ভূমি ও গৃহহীন ৫৪২টি পরিবার পেয়েছে সরকারের দেওয়া নিজের ঘর। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দেশের ৭০ হাজার পরিবারের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের এ ঘরগুলো উদ্বোধন করেন। এসময় ১৫০টি পরিবারের সদস্যদের হাতে ঘরের দলিল-কবুলিয়াত, নামজারি-খাজনার কপিসহ যাবতীয় কাগজপত্র তোলে দেওয়া হয়।
ঘরগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো আগে থেকেই। ঘরগুলো প্রত্যেকটি গৃহহীন পরিবারে স্বপ্ন। এই স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর মুজিব শতবার্ষিকীতে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যেকটি পরিবারকে দুই শতক জমিনসহ বুঝিয়ে দিলেন তাদের স্বপ্নের পাকা ঘর।
এ উপলক্ষে শনিবার সকালে মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। যেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনার মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন সংশ্লিষ্টরা।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মৌলভীবাজারের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মল্লিকা দে, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।
উপকারভোগী পরিবারের হাতে জমি এবং ঘর বুঝিয়ে দিচ্ছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি নেছার আহমদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন। ছবি: আমির
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন। গৃহহীন পরিবারকে গৃহ দিতে পারছি, এটি আমার সবচেয়ে আনন্দের। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের কথাই ভাবতেন। আমাদের পরিবারের লোকদের চেয়ে তিনি গরীব অসহায় মানুষদের নিয়ে বেশি ভাবতেন এবং কাজ করেছেন। এই গৃহ প্রদান কার্যক্রম তারই শুরু করা।’
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গৃহহীনদের জন্য মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় তৈরি হচ্ছে ৪৭৬টি ঘর। আর পুরো জেলায় ১১২৬টি। এ উদ্যোগে শুধু সদর উপজেলায় উদ্ধার হয়েছে ৩৯ একর খাস জমি।
এদিকে এ কর্মসূচির আওতাধীন যে ঘরগুলো এখনো প্রস্তুত হয়নি বাকি ঘরগুলোও নির্মাণাধীন। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে কাজ। কাজের মান নিশ্চিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রকল্প এলাকা নিয়মিত পরিদর্শন করছেন।
প্রতিটি ঘরে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে। ১১২৬ টি ঘরে মোট ব্যয় হবে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ ঘরেরই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলো নির্মাণাধীন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ঘরগুলো নির্ধারিত ভূমি ও গৃহহীনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তবে উপকারভোগীদের মধ্যে যাদের জমি আছে, তারা শুধু ঘর পাচ্ছেন। যাদের জমি নেই, তারা ২ শতাংশ জমি (বন্দোবস্ত) পাচ্ছে। সরকারের নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে এসব ঘর। এতে রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট থাকছে। টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হচ্ছে এ প্রকল্পে।
এর অংশ হিসাবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে আরও এক লাখ বাড়ি বিতরণের কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এই কাজ করছে। খাসজমিতে গুচ্ছ ভিত্তিতে এসব ঘর তৈরি হচ্ছে। কোথাও কোথাও এসব ঘরের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘স্বপ্ননীড়’, কোথাও নামকরণ হচ্ছে ‘শতনীড়’, আবার কোথাও ‘মুজিব ভিলেজ’।
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক