রিপন দে
আপডেট: ২১:৪৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
রেড ক্রিসেন্টের তরুণদের কর্মতৎপরতায় মুগ্ধ টিকা গ্রহীতারা
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যদের কার্যক্রম
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন করোনার ভ্যাকসিন নিচ্ছেন ১২'শ জন। এদের রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাকসিনেশন এবং যাবতীয় সবকিছু নিয়ে বিরাট এক কর্ম সম্পাদন করা হচ্ছে প্রতিদিন।
নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি প্রতিদিন ১২শ টিকা গ্রহণকারীর কারণে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে হাসপাতালে। তবে এত মানুষের চাপ, তাদের সঠিক ভাবে ভ্যাকসিন নিতে সাহায্য করা এবং ভ্যাকসিন নেয়ার পরবর্তী সময়ে পর্যবেক্ষণ করাসহ সরকারি সাইটে এদের তথ্য লিপিবদ্ধ করার কাজে নিবেদিত হয়ে কাজ করছে আর্থ মানবতার সেবায় গঠিত মৌলভীবাজার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২৫ জন সদস্য প্রতিদিন নিয়ম করে ঠিক সময়ে হাজির হয়ে টিকা প্রদান কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। মূলত ৮ জন নার্স এবং রেড ক্রিসেন্টের ২৫ জন সদস্য টিকাদান কাজে প্রতিদিন সরাসরি পূর্নাঙ্গভাবে কাজ সম্পাদনে অংশ নিচ্ছেন।
সরেজমিনে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পাশাপাশি কয়েকটি ডেস্কে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা টিকাদানের কাজ সম্পাদন করছেন। প্রথম ডেস্কে রোগীদের স্বাগত জানিয়ে তাদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন যাচাই বাছাই করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন পরবর্তীকে কি করতে হবে। এরপর অন্য একজন সেই রোগীকে টিকা গ্রহণের লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন শৃঙ্খলভাবে। এরই সাথে দিচ্ছেন মানসিক শক্তি। টিকা প্রদানের বুথেও নার্সদের সাথে সহকারী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা।
এমনকি সরকারিভাবে রোগীদের যে ডাটা নিবন্ধন করা হয় তাও স্বেচ্ছাশ্রমে করে যাচ্ছেন রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। ইতোমধ্যে রেড ক্রিসেন্টের এই কার্যকলাপ প্রশংসা কুড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে।
টিকা নিতে আসা পৌর নাগরিক আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, আমি এসে বুঝতে পারিনি কি করতে হবে, কোথায় যেতে হবে। তখনই তাদের একজন এগিয়ে এসে আমাকে সব বুঝিয়ে বলল। এমনকি ভ্যাকসিনে নেয়ার পরবর্তী ৩০ মিনিট আমাকে পর্যবেক্ষণে রেখে তারা মানসিক সাহস দিল। তাদের কার্যক্রমে আমি বুঝতেই পারিনি আমি যে এখানে একা এসেছি। রেড ক্রিসেন্টের প্রতিটি ছেলে মেয়ের জন্য দোয়া করি।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাসিন্দা ফারুক আহমদ বলেন, লন্ডন-আমেরকিায়ও এতো সুন্দর, সু-শৃংখল ও আন্তরিক সেবা নেই হয়তো। রেড ক্রিসেন্টের তরুণ ছেলেমেয়েদের কর্মতৎপরতায় আমরা রীতিমতো মুগ্ধ।’
একই বক্তব্য পেয়ারা বেগমের। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিয়েছি। রেড ক্রিসেন্টের ছেলেমেয়েরা এতো যত্ন করে আমাদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাদের জন্য অনেক দোয়া।’
এমন কাজে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরাও। মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং রেড ক্রিসেন্টের সদস্য মেহেদি হাসান জানান, আমি এই কাজ আনন্দের সাথে করছি। আমি গর্ববোধ করছি এমন মহান কাজে অংশ নিতে পেরে। আর্থ মানবতার সেবায় আজীবন কাজ করে যেতে চাই।
আরেক সদস্য মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাহমিদা শহিদ সুইটি জানান, তিনি সরাসরি টিকাদান বুথে শ্রম দিচ্ছেন। তার কোন ভয় লাগছে না বরং মানুষের সেবা করতে পেরে অন্যরকম মানসিক শক্তি পাচ্ছেন।
হাসপাতালে টিকা নিতে আসা বৃদ্ধা এক মহিলাকে সাহায্য করার সময় দেখা হয় যুব রেডক্রিসেন্টের প্রধান কামরুল ইসলাম মুন্নার সাথে। তিনি বলেন, আমরা যেমন কাজ করে আনন্দ পাচ্ছি তেমনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ মানুষও আমাদের সাহায্য পেয়ে খুশি।
আইনিউজ/এসডিপি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক