Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৫ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ১০ ১৪৩২

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ১৪ অক্টোবর ২০২০

সুনামগঞ্জে কারাগারে নয়, বাড়িতে বসে সাজা ভোগ করবে ১৪ শিশু 

সুনামগঞ্জে কারাগারে নয়, বাড়িতে বসে সাজা ভোগ করবে ১৪ শিশু। বুধবার দুপুরে বিভিন্ন অপরাধে ১০ টি মামলায় এমন ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন আদালত।  নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় প্রদান করেন।

রায়ে ১৪ শিশুকে একজন প্রবেশন কর্মকর্তার তদারকির মধ্যমে বাড়িতে থেকে ৭ টি শর্ত পালনের নির্দেশ দেন আদালত। আদালত তাদের প্রত্যেককে আমাগী ১ বছর প্রবেশনের মাধ্যমে বাড়িতে থেকে করতে হবে বিভিন্ন সংশোধনমূলক কর্মকাণ্ড করার নির্দেশ দেন।

বিচারক রায়ে সাজা ভোগের সময় যেসব শর্ত পালনের কথা উল্লেখ করছেন সেগুলো হলো-বাবা-মায়ের আদেশ মানা, তাঁদের সেবা করা, ধর্মীয় অনুশাসন মানা ও নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা, প্রত্যেককে কমপক্ষে ২০টি করে গাছ লাগানো ও গাছের পরিচর্যা করা, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, মাদক থেকে দূরে থাকা এবং ভবিষ্যতে কোনো অপরাধের সঙ্গে নিজেকে না জড়ানো।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রবেশনে দেওয়া এসব শিশুর বিরুদ্ধে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে টাকা গ্রহণ, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একজনের ছবির সঙ্গে অন্যের ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, শ্লীলতাহানি, মাদক রাখা, জুয়াখেলা, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও আসামি পলায়নে সহযোগিতা করা এবং মারামারির অভিযোগ ছিল।

এদিকে মামলার রায়ে খুশি হয়েছেন শিশুদের অভিভাবকরা। আদালতের দেওয়া নির্দেশনাগুলো তাদের সন্তানদের পালনে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে বলে ধারণা তাদের।

শিশু অপরাধে অভিযুক্ত এক শিশুর অভিভাবক নজরুল ইসলাম বলেন, আদালতে  রায়ে  আমরা খুশি হয়েছি। আদালত তার ভবিষ্যতের উন্নয়নের যে ৮টি শর্ত দিয়েছেন তা সে পালন করবে এবং আমরা তার দিকে নজর রাখবো। আমি চাই আমার সন্তান যেন ভবিষ্যতে এই কালো ছায়া থেকে বেড়িয়ে এসে আলোর পথে চলতে পারে।

এ ব্যাপারে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. রুহুল তুহিন বলেন, আমাদের বিচার অঙ্গনে এই আইনটি এতোদিন প্রয়োগ ছিলনা আজকে আমি মনেকরি যুগান্তকারী দিন। আজকে ১০টি মামলায় ১৪ জন অভিযুক্ত শিশুকে আদালত প্রবেশন কর্মকর্তার অধিনে ১ বছর বাড়িতে থেকে প্রবেশন শর্তগুলো মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন সেটি আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আরও বিশ্বস্থ করেছে।      

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মো.শফিউর রহমান বলেন, আদালত শিশুদের সংশোধনের জন্য বাড়িতে থেকে প্রবেশনের মাধ্যমে ৮টি কাজ করার শর্ত দিয়েছেন এবং তাদের নিয়মিন একটি নোটখাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে, আগামী ১ বছর তাদের বাড়িতে রেখে দেখা যাবে যদি তার  উন্নয়ন না হয় তাহলে তাকে পুনরায় আটক করে টঙ্গি কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।

আইনিউজ/এজেএল 
 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ