Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ৭ ১৪৩২

সাজু মারছিয়াং

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে সাঁওতালদের মানববন্ধন

ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাঁওতালরা। জনউদ্যোগ ও অবলম্বনের আয়োজনে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনটি গাইবান্ধা ডি.বি. রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধন সভাপতিত্ব করেন জন উদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী। শতাধিক নারী পুরুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে মানববন্ধন ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য প্রবীণ রাজনীতিক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, পরিবেশ আন্দোলন-গাইবান্ধা জেলা আহবায়ক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, জেলা বারের সধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার  সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বাবুল রবিদাস, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, মার্কসবাদী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মৃনাল কান্তি বর্মন, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, জেলা রবিদাস ফোরামের  সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, আদিবাসী নেত্রী তৃষ্ণা মুর্মু, বৃটিশ সরেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন- জুড়ীতে শিকারীর কাছ থেকে ২০টি পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও বাংলাদেশে আদিবাসীদের নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। বর্তমানে দেশের ৪৫টির মতো আদিবাসী গোষ্ঠীর ২০ লাখেরও বেশি শিশু বংশপরম্পরায় ভুলতে বসেছে তাদের নিজস্ব ভাষাগত ঐতিহ্য, লোকগাথা, প্রবাদ-প্রবচন ইত্যাদি। আদিবাসী শিশুদের নিজ মাতৃভাষায় অক্ষরজ্ঞান না থাকায় তাদের সংস্কৃতিও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। একটি শিশুর স্বকীয়তা, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও মেধার বিকাশ হয় তার মাতৃভাষার মধ্য দিয়ে। তাই আদিবাসী শিশুদের এ দেশে সাধারণভাবে শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা হতদরিদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভাষা ও নিজ ভাষার বর্ণলিপি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু চর্চার অভাবে এসব বর্ণমালার সবই এখন বিলুপ্তপ্রায়। ফলে নতুন প্রজন্মের আদিবাসীরা নিজ ভাষায় কথা বলতে পারলেও নিজস্ব ভাষায় তারা একেবারে নিরক্ষর।

বক্তরা আরো বলেন, গাইবান্ধাসহ আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিলম্বে আদিবাসীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক, গাইবান্ধা জেলায় আদিবাসী কালচারাল একাডেমি প্রতিষ্ঠাসহ তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান। বুকের রক্ত দিয়ে এ দেশ ভাষার মর্যাদা প্রথিষ্ঠা করে সারাবিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। অথচ এ দেশেই ভাষাগত সংখ্যালঘু জাতিগুলোর মাতৃভাষা কি বঞ্চিত থাকবে? বিকাশের জন্য মাতৃভাষা অত্যন্ত জরুরি। মাতৃভাষায় শিশু শিক্ষার বিকল্প তো হতে পারে না। 

আরও পড়ুন- ধর্ষণের কথা ফাঁস করে দেবেন বলায় ছয় টুকরা করা হয় জোৎস্নাকে

পৃথিবীর সব ভাষার প্রতি সম্মান এবং সংখ্যালঘু ও দুর্বল সম্প্রদায়ের ভাষা রক্ষায় সব দেশের সরকারদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও সক্রিয় থাকা উচিত। দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা চর্চা ও বিকাশ নিশ্চিত করার মাধ্যমেই দেশের সব জাতির মাতৃভাষার প্রতি আমাদের সম্মান নিশ্চিত করা সম্ভবপর হবে।

আইনিউজ/সাজু মারছিয়াং/এসডিপি

আইনিউজ ভিডিও 

কৃষক ও ফিঙে পাখির বন্ধুত্ব (ভিডিও)

পোষ মানাতে হাতির বাচ্চাকে নির্মম প্রশিক্ষণ 

হাতির আক্রমণে হাতি হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ