Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২১ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ৮ ১৪৩২

প্রবাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ৮ মে ২০২১
আপডেট: ২২:১২, ৮ মে ২০২১

লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজে বাংলাদেশি যুবকের আজান ছড়ালো মুগ্ধতা

কাজী শফিকুর রহমান

কাজী শফিকুর রহমান

লন্ডনের বিখ্যাত টাওয়ার ব্রিজে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ইফতারের সময় ভেসে আসলো আজানের সুর। মুয়াজ্জিনের সে আজানের সুরে হতবাক সবাই। এ যেন মক্কার পবিত্র মসজিদের মুয়াজ্জিন শেখ আলী আহমাদ মোল্লার অবিকল আজানের ধ্বনি। এমন আজান দিয়ে তাক লাগিয়েছেন বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক কাজী শফিকুর রহমান। ইফতারের পূর্বে তার মাগরিবের আজান মুগ্ধ হয়ে শুনেছে সবাই।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) একটি ভার্চুয়াল ইফতার অনুষ্ঠান উপলক্ষে কাজী শফিকুর রহমান মাগরিবের আজান দেন। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস, ইস্ট লন্ডন মসজিদ, লন্ডন মুসলিম সেন্টার ও টাওয়ার হ্যামলেটস ইন্টারফেইথ ফোরামের উদ্যোগে একটি ভার্চুয়াল ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শফিকুর রহমান শৈশব থেকেই অত্যন্ত সুন্দর কণ্ঠে আজান দিতে পারেন। মক্কার মসজিদুল হারামের আজান অনুসরণ করে ছোটবেলা থেকে সুমধুর কণ্ঠের আজান দিতে অভ্যস্ত তিনি। তাই ব্রিটিশ-বাংলাদেশীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি মসজিদুল হারামের সুরে আজান দিয়ে সবাই মুগ্ধ করেন।

কাজী শফিক মসজিদুল হারামের প্রধান মুয়াজ্জিন শায়খ আলি আহমদ মোল্লার সুর অনুসরণ করে আজান দেন। ১৯৭৫ সাল থেকে শায়খ মোল্লা মসজিদুল হারামে আজান দিচ্ছেন। মক্কা নগরীতে ভ্রমণ করা বিশ্বের মুসলিমরা তাঁর আজানের সুরের সঙ্গে খুবই পরিচিত। 

লন্ডনের বিখ্যাত টাওয়ার ব্রিজে জনসম্মুখে আজান দেওয়ার সুযোগ পেয়ে খুবই অভিভূত শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে এ ধরনের সুযোগ আমার জন্য সত্যিই অবাক করার মতো। 

শফিকুর রহমান গত দুই দশক ধরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মসজিদ ও অনুষ্ঠানে আজান দিয়ে আসছেন। দ্বিতীয় বারের মতো এবার তিনি লন্ডনের বিখ্যাত স্থানে রমজানে ইফতারের আজান দিলেন। 

গত বছর লন্ডনের অর্থনৈতিক কেন্দ্র ক্যানারি ওয়ারফে আজান দিয়ে শফিকুর ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। দর্শকরা তাঁর আজানের ভিডিওটি ১০ লাখের বেশি বার দেখে। আগামী বছরও তিনি শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের মতো বিশ্ববিখ্যাত স্থানে আজান দিতে চান। 

শফিকুর বলেন, ‘গত বছর ক্যানারি ওয়ারফে আজান দিয়ে আমি উপলব্ধি করি যে আজান একটি শক্তিশালী বার্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আমি তা বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে পারছি। অসংখ্য মানুষ আমার আজান দেখেছে ও শুনেছে। অনেক অমুসলিম আজান শুনে খুবই মুগ্ধ হয় এবং এটি আসলে কী তা জানতে অনুসন্ধান শুরু করে।’ 

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়