Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২৭ অক্টোবর ২০২৫,   কার্তিক ১২ ১৪৩২

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১ জুলাই ২০২০

বিজ্ঞাপন বয়কট, চাপে মার্ক জাকারবার্গ

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী একটি সংগঠন ‘দ্য স্টপ হেইট ফর প্রফিট‌’ এখন বয়কটকে তাদের আন্দোলনে এক বড় রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আন্দোলনকারীরা দাবি করছে, ফেসবুক তাদের প্লাটফর্মে বর্ণবাদী এবং ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ জিনিস বন্ধ করতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

আন্দোলনকারীরা বেশ কিছু বড় বড় কোম্পানিকে ফেসবুক এবং এধরনের অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ করতে রাজি করাতে পেরেছেন। এসব কোম্পানির মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ফোর্ড, অ্যাডিডাস এবং এইচপি। এর আগে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল কোকা-কোলা, ইউনিলিভার এবং স্টারবাকস।

নিউজ ওয়েবসাইট এক্সিওনের এক খবরে বলা হচ্ছে, মাইক্রোসফট্ গত মে মাস থেকে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ করেছে। কারণ এই দুটি প্লাটফর্মে যে ধরনের আপত্তিকর কনটেন্ট প্রকাশ পাচ্ছে সেটা নিয়ে তাদের উদ্বেগ আছে।

এদিকে রেডিটের মতো অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মও ঘৃণা এবং বিদ্বেষপূর্ণ কন্টেন্টের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটি ফেসবুকের ওপর আরও চাপ তৈরি করছে।

এই বয়কট কি ফেসবুকের ক্ষতি করতে পারে?

সহজ এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর হচ্ছে ‘হ্যাঁ’। কারণ ফেসবুকের মোট আয়ের একটা বিরাট অংশ বিজ্ঞাপন থেকে আসে।

এভাইভা ইনভেস্টরস এর ডেভিড কামিং বিবিসিকে বলেন, ফেসবুকের ব্যাপারে এই যে একটা আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে এবং তাদের কোনো নৈতিক অবস্থান নেই বলে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে সেটা তাদের ব্যবসার ক্ষতি করতে পারে।

গত শুক্রবার ফেসবুকের শেয়ারের দাম পড়ে গেছে প্রায় ৮%। এর ফলে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী এবং মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ অন্তত কাগজে-কলমে ৬ বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড কমে গেছে।

কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি আরও বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে কিনা কিংবা ফেসবুকের অস্তিত্বের জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।

কোন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে এটাই প্রথম বয়কটের ডাক নয়। ২০১৭ সালে বড় বড় অনেক ব্র্যান্ড এবং কোম্পানি ঘোষণা করেছিল যে তারা ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ করবে। কারণ এই বিজ্ঞাপনগুলো বর্ণবাদী এবং সমকামী বিদ্বেষী ভিডিওর পাশে দেখানো হচ্ছিল।

সূত্র: বিবিসি

জেএ/আই নিউজ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়