আইনিউজ প্রতিবেদক
চসিক নির্বাচন
শুরু থেকেই এগিয়ে নৌকার রেজাউল
ভাঙচুর, বর্জনসহ অনিয়মের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ভোট গণনাও শেষের দিকে। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে শুরুতেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। প্রথমবারের মতো চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে ইভিএমের মাধ্যমে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, ভোট গণণাকৃত ১৯৪টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৩৭৪ ভোট। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রাপ্ত ভোট আট হাজার ২৫০।
যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে উৎসবমুখর ভাবে ভোট হয়েছে। একই কথা নির্বাচনী কর্মকর্তাদেরও।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নগরের বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। বাকলিয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশাসনিক ভবন কেন্দ্রে সকাল ১০টার দিকে ভোট দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
এর আগে সকাল ৮টায় নির্বাচনকে ঘিরে একজনের মৃত্যু হয়। নগরের পাহাড়তলীতে সালাউদ্দিন কামরুলের ছুরিকাঘাতে মারা যান তার আপন ভাই নিজামউদ্দীন মুন্না।
নিহত মুন্না ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী ছিলেন। অন্যদিকে কামরুল একই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন।
পরে সকাল ১০টার দিকে নগরের খুলশী থানার ইউসেপ আমবাগান কেন্দ্রে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন আলো (২৮) নামে আরেক নারী মারা যান।
চট্টগ্রাম নগরের মেয়র এবং ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২২৬ জন। এর মধ্যে ৩৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন ১৬৯ জন। প্রার্থীর মৃত্যুসহ বিশেষ কারণে বাকি দুই ওয়ার্ডে ওই পদে নির্বাচন হচ্ছে না। সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে নামেন ৫৭ জন।
মেয়র পদে মোট প্রার্থী হন সাতজন। এরা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাতি প্রতীকে খোকন চৌধুরী, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ এবং হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন।
আইনিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের