নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১৪:৪৭, ২০ অক্টোবর ২০২১
তিস্তা বাঁধের সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত, বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি
তিস্তা বাঁধের গজলডোবা অংশের ৪৪টি গেটের সবগুলো খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বছরের এই সময়ে হঠাৎ করে এমন পানি বৃদ্ধি বা বন্যার আশঙ্কা অস্বাভাবিক ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নীলফামারির ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউ-দৌলা বলেছেন, 'তিস্তা নদীর পানি দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজে যে ফ্লাড বাইপাস আছে, নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমা ছাড়ালে ওই বাইপাস খুলে যায়, সেটা ইতিমধ্যে খুলে গেছে।'
তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে নদীতে পানি বাড়তে থাকে। বুধবার সকাল ৬টার সময় প্রথম বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করে। ভারতীয় অংশে গত কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে যাওয়ায়, তারা তিস্তা ব্যারেজের গজলডোবার ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে। যে কারণে আমাদের এখানে হঠাৎ পানির বৃদ্ধি ঘটেছে।
তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর বিবিসিকে বলেছেন, বছরের এই সময়ে হঠাৎ করে এমন পানি বৃদ্ধি বা বন্যার আশংকা অস্বাভাবিক ঘটনা।
তিনি জানিয়েছেন, লালমনিরহাটের তিনটি উপজেলার অনেকগুলো গ্রাম, বিশেষ করে তিস্তার চর এলাকাগুলো ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে।
সাধারণত তিস্তার পানির প্রবাহ ৫২.৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিক বিবেচনা করা হয়। পানির প্রবাহ ওই সীমার ওপরে গেলে তাকে বিপৎসীমা বিবেচনা করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মঙ্গলবার রাতে তিস্তার পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
আইনিউজ/এসডি
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
- রিজেন্ট সাহেদ মৌলভীবাজারে!
- ‘মে মাসের শেষের দিকে করোনা চরম পর্যায়ে যেতে পারে’