Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৪ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৯ ১৪৩২

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

বড়লেখা হানাদার মুক্ত দিবস পালন

মৌলভীবাজারের বড়লেখা পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিজয় র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, বড়লেখা প্রেসক্লাব, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড যৌথভাবে এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। দুপুরে বিজয় র‍্যালিটি বড়লেখা পৌরশহর প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক মুহাম্মদ শাহজাহানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী গোপাল দত্ত, তালিমপুর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বড়লেখা সরকারি কলেজের প্রভাষক সফিউল আলম, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর নাট্য সম্পাদক সালমান কবির, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব শুভাশিস দে শুভ্র, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ছায়রা বেগম, হাজেরা বেগম ও কটাই মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সামছুল ইসলাম রিফাত, জাফর আহমদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আজ ৬ ডিসেম্বর, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে নাকাল পাকহানাদার বড়লেখা ছাড়তে বাধ্য হয়। ওইদিন ভোরে বড়লেখা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হলে বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে এক বিজয় সমাবেশ করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হলেও ওইদিন বড়লেখায় উদিত হয় লাল সবুজের পতাকা।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখাবাসী জেগে উঠেছিল রণহুঙ্কারে। ৩২৫টি গ্রাম যেনো প্রতিরোধের এক একটি বিশাল দুর্গে পরিণত হয়। বড়লেখা থানাটি ৪ নম্বর সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল। মেজর সি.আর দত্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। এ সেক্টরের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের করিমগঞ্জে প্রয়াত এমপি দেওয়ান ফরিদ গাজীর নেতৃত্বে। বড়লেখা থানার পার্শ্ববতী বারপুঞ্জি ও কুকিরতলে সাব-সেক্টর স্থাপন করা হয়। হানাদারদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ছোট বড় আক্রমণ চালিয়েছে এ সাব সেক্টরের মুক্তি সেনারা।

 

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই বড়লেখার বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সংগ্রামী মানুষ। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় তাঁরা নেমে পড়েন শত্রুর মোকাবেলায়। ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে নাকাল পাক হানাদার বড়লেখা ছেড়ে পালায়। ভোরে বড়লেখা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। পরে বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে এক বিজয় সমাবেশ ওড়ানো হয় লাল সবুজের পতাকা।

আইনিউজ/এজে লাভলু/এসডি

দেখুন আইনিউজের বিভিন্ন ভিডিও খবর

ঘুরে আসুন মৌলভীবাজারের পাথারিয়া পাহাড়

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া, দেশে চিকিৎসা নেই

শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় চতুর্থবার মেয়র হলেন মহসীন মিয়া মধু

মৌলভীবাজারে ১৩৩ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৪০ বেকার তরুণ

পাকিস্তান দলকে সমর্থনকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উৎসবে মুগ্ধ বিদেশিনী

মৌলভীবাজারের সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ভারত সরকারের পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত

এছাড়াও যে কোনও ভিডিও সংবাদের জন্য ভিজিট করুন আইনিউজের ভিডিও আর্কাইভস

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ