Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৬ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১৫:৩৭, ১৫ জুন ২০২৪

মৌলভীবাজারের স্টেডিয়ামে জমে ওঠেছে কোরবানির পশুর হাট

প্রতিবছরের মতো এবছরও দেশি গরুর দিকেই ঝুঁকছেন বেশিরভাগ ক্রেতা। ছবি- আই নিউজ

প্রতিবছরের মতো এবছরও দেশি গরুর দিকেই ঝুঁকছেন বেশিরভাগ ক্রেতা। ছবি- আই নিউজ

রোববার রাত পোহালেই দেশে পালিত হবে ঈদুর আজহা। ঈদের আগে আগে জমে ওঠেছে মৌলভীবাজারের স্টেডিয়ামে বসা কোরবানির পশুর হাট। অসংখ্য দেশি-বিদেশী জাতের গরু নিয়ে সারিবদ্ধভাবে পশরা সাজিয়ে বসা হতাশ ব্যবসায়ীরা আশা ফিরে পেয়েছেন ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে। শুরুর দিকে কোরবানির পশুর হাটে তেমন পশুর দেখা না মিললেও ঈদের দুই দিন আগে পুরোপুরি জমে ওঠেছে হাট। বর্তমানে বাজার ভর্তি গরু। 

শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে সরেজমিনে কোর্ট রোডে অবস্থিত মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে কোরবানির পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, সারিবদ্ধ ভাবে নির্ধারিত স্থানে নিজেদের পশু নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন নানা জায়গার ব্যবসায়ীরা। গরু রাখার জায়গা প্রায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে অসংখ্য গরুর উপস্থিতিতে। হাটে সারিবদ্ধভাবে কোরবানির পশু রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছে পৌরসভা। প্রায় সব সারিতেই রয়েছে গরুর উপস্থিতি। শুক্রবার রাতে অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন ঈদের আগের দুই দিনই পশুর হাটের মূল বেচাবিক্রি হবে। তাই, শেষ সময়ে ভালো বিক্রির আশা করছেন তারা।

গরুর বাজারে এবছর বিদেশী গরুর থেকে দেশি গরুর দিকে ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি বলে জানালেন বিক্রেতারা। অনেকে আবার পছন্দ করছেন শাহিওয়াল, জার্সিসহ নানা জাতের বিদেশী গরু। তবে, ছোট আকারের গরুর দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা। এক লক্ষ টাকা দরের নিচে যেসব গরু রয়েছে; সেগুলোর জন্য চড়া দাম হাঁকা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে। 

মোহাম্মদ লিটন নামের এক যুবক এসেছেন স্টেডিয়ামে পশুর হাট থেকে গরু কেনার উদ্দেশ্যে। বেশকিছুক্ষণ বাজার ঘুরে দেখার পর তিনি এসে দেশি গরুর দামদর করছিলেন। তাঁর সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, গরু মাশাল্লাহ বাজারে ভরপুর রয়েছে। নানা জাতের বিদেশী গরুও উঠেছে। বেশিরভাগই স্থানীয় খামারীদের গরু। এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। গরুর দামও মোটামুটি সহনীয় পর্যায়েই আছে। তবে, ছোট আকারের গরু দাম বেশি চাইছেন ব্যবসায়ীরা।  এটা সবসময়ই হয়। ছোট গরুর চাহিদা থাকে বেশি, দামও থাকে বেশি।

তিনি বলেন, আমার একটা গরুর জন্য বাজেট ৮০-৯০ হাজার টাকা। তবে, এই দামে পছন্দসই গরু পাচ্ছি না। ১ লাখ ২০ হাজার বাজেটে গরু মিললেও তা পছন্দ হচ্ছে না। আবার দেড় লাখ টাকা বা এর বেশি দরে ভালো এবং পছন্দমতো গরু পাওয়া যাচ্ছে। 

হোসনেআরা বেগম নামে এক নারী ক্রেতা বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয় খামারীদের কাছে গরু দেখলেও পছন্দমতো গরু পাননি। তিনিও এসেছেন স্টেডিয়াম থেকে গরু কিনবেন বলে। তাঁর বাজেট ২ লাখ টাকা থাকলেও তিনি মনমতো গরু পাচ্ছেন না বলে জানান। 

গরু বিক্রেতা সুলতান মিয়া নাজিরাবাদ ইউনিয়নের সিকরাইল গ্রাম থেকে নিজের পালিত ৪টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। সুলতান মিয়া বলেন, বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি ভালো। এরিমধ্যে আমার দুইটা গরু বিক্রিও করে ফেলেছি। আশা করি বাকি দুইটাও বিক্রি করে ফেলতে পারব।

সদর উপজেলার শাহবন্দর এলাকা থেকে রফিক মিয়া ৬টি গরু তোলেছেন এবারের হাটে। তিনি বলেন, বাজারে এসে শুরুর দিকে ক্রেতা না পেয়ে হতাশ ছিলাম। বাজার শুরুর দিকে একদমই ক্রেতা ছিল না। তবে, গত দুইদিন ধরে চিত্র বদলে গেছে। বাজারে এখন অসংখ্য ক্রেতারা আসছেন। আশা করি বাকি দুইদিনে গরুগুলো বিক্রি করতে পারব। 

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়