আই নিউজ ডেস্ক
ইলেকশনে যাওয়ায় ১৮ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দলীয় প্রতীক।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে দলগতভাবে অংশ না নেওয়ার ঘোষণায় এখন পর্যন্ট অটল আছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে হরতাল, অবরোধে ভোট বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। এ অবস্থায় বিএনপির একাধিক নেতা বিভিন্ন আসন থেকে বিভিন্ন দলের এমনকি স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি। ১৮ জনের মতো নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের ১৮ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছে ৮ জন। এরা হলেন— বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, তাঁতীবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ১০ জন হলেন— শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন ও সর্বশেষ শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে বহিষ্কার করা হয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য, ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হোসেন রেজা বাবু, বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ ও মধুপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক।
কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, বিএনএমে যোগ দিয়ে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-৪ আসনে এবং মতিউর রহমান মন্টু রাজশাহী-৩ আসনে, ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠন করে খন্দকার আহসান হাবিব টাঙ্গাইল-৫ আসনে এবং একেএম ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্রাক্ষণবাড়িয়া-১ আসনে এবং শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জেলা নেতাদের মধ্যে বিএনএম থেকে শেরপুরের মো. আবদুল্লাহ শেরপুর-১ আসনে ও চাপাইনবাবগঞ্জের আবদুল মতিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, তৃণমূল বিএনপি থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল শেরপুর-২ আসনে ও পঞ্চগড়ের আব্দুল আজিজ পঞ্চগড়-২ আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেওয়ানগঞ্জের মাহবুবুল হাসান জামালপুর-১ আসনে এবং ধামরাইয়ের দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ঢাকা-২০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ ছাড়া, রাবেয়া সিরাজের মেয়ে ব্যারিস্টার শুক্লা সিরাজ টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের