Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫,   পৌষ ৮ ১৪৩২

সাফওয়ান মনসুর

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

ভার্চুয়ালি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপন। ছবি: আই নিউজ

ভার্চুয়ালি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপন। ছবি: আই নিউজ

গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৫৫তম মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ভার্চুয়ালি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও কমিউনিটি লিডার ময়নুল চৌধুরী হেলাল।

প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন একুশে পদকপ্রাপ্ত একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. অরুপ রতন চৌধুরী। তিনি জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন এবং বিজয়ের গান গেয়ে অনুষ্ঠানে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি অলি উদ্দিন শামীম, কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান, চিফ ট্রেজারার ড. রফিকুল হায়দার, আব্দুল ওদুদ দীপক, শামীম আহমেদ ও মোস্তাক আহমদ। বাংলাদেশ থেকে যুক্ত হন ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহিব উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যাংকার ও জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম শামীম আলম কোরেশী এবং ইকবাল হোসেন। এছাড়া ফ্রান্স থেকে সভাপতি ফয়ছল উদ্দিন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল বাসিত, পর্তুগাল শাখার সভাপতি লায়ন আবুল হাসনাত এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক (বাফেলো) থেকে শাম্মী আক্তার হেপীসহ আরও অনেকে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীরের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। পাশাপাশি গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান মুহিব হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস।

আলোচনা সভায় বক্তব্যে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ময়নুল চৌধুরী হেলাল বলেন, “এই দিনটি আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং স্বাধীনতার চূড়ান্ত সাফল্যের স্মারক। স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক করতে হবে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং ঐক্যের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা চিরতরে দমন করতে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী বর্বরতার পথ বেছে নেয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালায়। এর পরপরই বাংলার বীর সন্তানেরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে স্বাধীনতার জন্য মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম ও বিপুল ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই মহান বিজয়। বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার গুরুত্ব আরোপ করেন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইংল্যান্ড, ইতালি, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

ইএন/এসএ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়