Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৬ ১৪৩২

স্পোর্টস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ২১ অক্টোবর ২০২১
আপডেট: ১৯:৪৯, ২১ অক্টোবর ২০২১

দাঁড়াতেই পারেনি পাপুয়া নিউ গিনি, বড় জয় টাইগারদের

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ টার্গেট দিয়েছিলো ১৮২ রানের। কিন্তু টার্গেটের আশেপাশে যাওয়ার আগেই সব উইকেট হারিয়ে ফিরতে হয়েছে পাপুয়া নিউ গিনিকে। বোলাররা রীতিমতো ছেলেখেলাই করলেন পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে। তাতে অনায়াস জয়টা দিলো ধরা। এর মধ্য দিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। 

১৮২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাকিবদের বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারছিলো না পাপুয়া নিউ গিনি।  মাত্র ২৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।  পিএনজিকে ৯৭ রানে অলআউট করে ৮৪ রানের রেকর্ড ব্যবধানে জয় টাইগারদের। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এর আগে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রানের জয়ের রেকর্ড ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, ৭১ রানে। ২০১২ সালে।

বাংলাদেশের দেয়া পাহাড় সমান রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভার দেখে-শোনে খেললেও তৃতীয় ওভারে সাইফউদ্দিনের করা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন নিউগিনির ওপেনার লেগা সিয়াকা। আউট হওয়ার আগে করেন ৫ রান। পরের ওভারে তাসকিনের করা বলে কটবিহাইন্ড হন পিএনজির অধিনায়ক আসাদ ভালা। তিনি করেছেন ৬ রান।

পঞ্চম ওভার করতে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ওই ওভারের প্রথম এবং চতুর্থ বলে আরও দুটি উইকেট তুলে নেন সাকিব। ১ রানে চার্লস আমিনি এবং শূন্যরানে ফেরেন সিমোন আতাই।

নিজের করা তৃতীয় ওভারে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব। ৫ রানে ফেরান সেসে বাউকে। এর পরের ওভারে ম্যাচে প্রথম উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদি হাসান। তার বলে আউট হওয়ার আগে কোনো রানই তুলকে পারেননি নরমান হানুয়া।

এখন ৪ রানে হিরি হিরি এবং শূন্যরানেকিপলিন ডোরিগা অপরাজিত রয়েছেন।

বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠার লক্ষ্যে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। কিন্তু ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই কাবুয়া মোরেয়ার বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার নাঈম শেখ। পরে ২৩ বলে ১টি করে চার-ছয়ে ২৯ রান করে ফেরেন লিটন।

তৃতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে খেলতে নামেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ক্রিজে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ তিনি। মাত্র ৫ রান তুলে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলীয় স্কোরটা আরও বাড়িয়ে নিতে থাকেন। এ সময় ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দিকেই এগাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু ৩৭ বলে ৪৬ রান তুলে আসাদ ভালার বলে চার্লস আমিনির হাতে ক্যাচ তুলে দেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিব ফেরার পর আফিফকে নিয়ে আবারও জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিজের ব্যক্তিগত ইনিংসকে দ্রুতই বড় করতে থাকেন বাংলাদেশি অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৬ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। আর এর পরেই বলেই আউট হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তার খেলা ৫০ রানের ইনিংসটি তিনটি চার এবং তিনটি ছয়ে সাজানো।

এদিকে ব্যাট হাতে কোনো রানই তুলতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। এরপর আউট হওয়ার পূর্বে ২১ রান তুলেন আফিফ। আর শেষদিকে মাত্র ৬ বলে ২ ছয় এবং ১ চারে ১৯ রান তুলে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আর মেহেদি হাসান অপরাজিত থাকেন ২ রানে।

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়