Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৪ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৯ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:২৫, ৪ এপ্রিল ২০২১
আপডেট: ১০:৫৩, ৪ এপ্রিল ২০২১

ছাতক থানায় হেফাজতের হামলা-ভাঙচুর, আহত ৫ পুলিশ

নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি রিসোর্ট থেকে হেফাজতের ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে আটকের জের ধরে সুনামগঞ্জের ছাতক থানায় হামলা চালিয়েছে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা।

শনিবার (৩ এপ্রিল) রাত ৯টায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাতক পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। পরে থানায় হামলা করে তারা। পুলিশ ৪০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে থানার নিরাপত্তা রক্ষার্তে। এতে ছাতক থানার পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

হামলায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলার পরপরই ছাতক পৌর শহরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। রাতেই ছাতক থানা পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা, হেফাজতের ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নারায়নগঞ্জে আটক করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে ছাতক পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও অনুসারীরা। এক পর্যায়ে থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

ইট-পাথরের আঘাতে ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন রাকিব উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, দিলশাদ মিয়া, রবিউল আলম ও সুবল দাস। আহত পুলিশ সদস্যরা ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, রাতে অতর্কিত কয়েকশ’ লোক থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে থানার পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে বর্তমান সময়ের আলোচিত ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় এক হোটেলে নারীসহ অবরুদ্ধ ছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে র‍্যাব-১১, পুলিশ ও প্রশাসনের মানুষজন ঘটনাস্থলে হাজির হন।

পরে ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেন তিনি। এ বিষয়ে ওই নারীর পরিচয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ওই নারীও নিজেকে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেই পরিচয় দেন ওইসময়।

সন্ধ্যার দিকে আটক হওয়ার পর মামুনুল ইসলাম ঐ রিসোর্টেই ছিলেন। মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্ট থেকে নিয়ে গেছেন তার সমর্থকরা।

মামুনুল হক অবরুদ্ধ থাকার সংবাদ শুনে কয়েকশ মানুষ রিসোর্টটির সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় তারা স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। পরে সেখান থেকে তাকে পাশের একটি মসজিদে নিয়ে যায় তারা।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) তবিদুর রহমান বলেন, রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হেফাজতের কর্মীরা।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে মামুনুল হকের একটি ফোনালাপ। তাতে তিনি তার বাসায় কল দিয়ে স্ত্রীর সাথে কথা বলেন কথিত ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ বিষয়ে।

‘ওই মহিলা যে ছিল সাথে সে হইলো আমগো শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের ওয়াইফ। তোমাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে তুমি বইলো, হ্যাঁ আমি সব জানি’ এরকমটিই বলতে শোনা গেছে মামুনুল হককে।

আইনিউজ/এসডি

[আইনিউজের ফেসবুক পেইজে মামুনুল হককে আটকের ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন]

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ