Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৬ ১৪৩২

প্রকাশিত: ১৪:৩৬, ২৬ মে ২০১৯
আপডেট: ১৪:৫৩, ২৬ মে ২০১৯

তালিকা হবে রাজাকারদের

আইনিউজ ডেস্ক: তালিকা হবে রাজাকারদের। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব রাজাকার, আলবদর, আল শামস থানা ও জেলা-মহকুমা পর্যায়ে সরকারি ভাতা নিয়েছিলেন তাঁদের তালিকা সংরক্ষণ করতে জেলা প্রশাসকদের গোপন বার্তা পাঠানো হবে। রোববার (২৬ মে)  জাতীয় সংসদ ভবনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর আগের বৈঠকে এ বিষয়ে সুপারিশ করেছিলো সংসদীয় কমিটি। বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়,  এ জন্য  নথি উপস্থাপন করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অনুবিভাগে সংরক্ষিত রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেওয়া হবে।  ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদ ও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সদস্যদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে আসনগুলো অবৈধ ভাবে শূন্য ঘোষণা করেছিলো বিজয়ী পাকিস্তান। নির্বাচিতদের বাদ দিয়ে যাদের সদস্য করা হয়েছিল তাদের নাম স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছিল সংসদীয় কমিটি।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা প্রস্তুত ও সংরক্ষণে আইন সংশোধনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৫ সদস্যদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির সূত্র জানায়, স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা করার বিষয়ে গত ২৮ এপ্রিল কমিটির বৈঠকেও আলোচনা করা হয়। বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার কথা উল্লেখ থাকায় রাজাকার, আল বদর, আল শামস বা স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা করার আইনগত ভিত্তি নেই। আইনে স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আইনটি সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক মাসের মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা করার জন্য কোনো আইনের প্রয়োজন নেই এমনটা মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ। গতকাল কমিটির বৈঠক শেষে কাজী ফিরোজ জানান, এখানে কাউকে বেতন, ভাতা দেওয়ার বিষয় নেই। তাই এ জন্য আইন সংশোধন করা লাগে না। তিনি বলেন, কারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল ইতিহাসে তাদের নাম থাকতে হবে। এ জন্য কমিটি একটি তালিকা করতে বলেছে। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় থানা, মহকুমা, জেলা প্রশাসন থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হবে। পরবর্তীতে ওই তালিকা প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য কমিটি সুপারিশ করে। এইচএ/ ইএন 
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়