Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৬ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
আপডেট: ১২:৩০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

পরীমনির মতো অবস্থায় পড়েছিলেন তসলিমা নাসরিনও

তুমুল আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে বাসায় রাখছেন না আর বাড়িওয়ালা। কারাগার থেকে মুক্ত হতেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন তিনি পরীমনিকে। সেখানে স্পষ্ট লেখা, বনানীতে তিনি যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন, সেটি ছেড়ে দিতে হবে তাকে।

বনানীর ওই আবাসনের অন্য যারা থাকেন তাদের প্রত্যেকেরই নিজের ফ্ল্যাট। একমাত্র পরীমনিই ভাড়া থাকেন। সে সব বাসিন্দারের অভিযোগের জেরেই নায়িকাকে ফ্ল্যাট ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন বাড়িওয়ালা। পরীমনির এই ঘটনায় নিজের ফেলে আসা তিক্ত স্মৃতি হাতড়ালেন বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত বিতর্কিত লেখিকা ডা. তসলিমা নাসরিন।

একসময় বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তসলিমা। কিন্তু কিছুদিন পর ওপার বাংলাও ছাড়তে হয় তাকে। খোদ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নাকি তাকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেসময় ঠিক পরীমনির মতোই মানসিক অবস্থা হয়েছিল তার। নিজের সে সব ঘটনা বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লম্বা একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন তিনি।

তসলিমার ভাষায়, ‘মনে পড়ছে, কলকাতার সেই দিনগুলোর কথা। ৭ নম্বর রওডন স্ট্রিটে ডাক্তার দেবল সেনের বাড়িতে আমি তখন ভাড়া থাকি। ২০০৭ সাল। পুলিশ কমিশনার এসে জানিয়ে গেলেন, আমাকে দেশ ছাড়তে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, দেশ যদি আপাতত না-ও ছাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ আমাকে আজ বা কালের মধ্যেই ছাড়তে হবে। দেশের দরজা বহুকাল বন্ধ। ইউরোপ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রাণের টানে আর ভাষার টানে আশ্রয় নিলাম, আর আমাকে কিনা এই আশ্রয়টিও ছাড়তে হবে, কোথাও তো আর ঘর বাড়ি নেই আমার, যাবো কোথায়!’

তসলিমা তার লেখায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রয়াত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। তিনি লিখেছেন, ‘সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যখন ফোন করে বললেন আমাকে রাজ্য ছাড়তেই হবে, বুঝলাম যাদের উচিত ছিল পাশে দাঁড়াবার, তারাই পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। কলকাতা তো দেখিয়ে দিয়েছে লেখকেরা কী করে আরেক লেখকের বই নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়, লেখকেরা কী করে আরেক লেখকের সর্বনাশ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’

তসলিমার আরও অভিযোগ, ‘চারদিক থেকে যখন অন্ধকার নেমে আসছে, তখন আমার বাড়িওয়ালা আমাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছিলেন! সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীই বাড়িওয়ালাকে বলেছিলেন ওই নোটিশটি দিতে। ষড়যন্ত্র কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা সেদিন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম।’

তসলিমার কথায়, ‘পরীমনির অসহায়তা আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করছি।’ তবে তার বিশ্বাস, ‘পরীমণির শত্রু যেমন কম নয়, অনুরাগী শুভানুধ্যায়ীও তেমন কম নয়, তারা এই দুঃসময়ে তার পাশে দাঁড়াবে, আমার বিশ্বাস।’

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত ঘটনায় অভিনেত্রীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তসলিমাকে। এমনকি টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে যখন জোর চর্চা শুরু হয়, তখন নুসরাতের হয়ে কথা বলেন তসলিমা। এছাড়া পরীমনি বিতর্কেও শুরু থেকে তার হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন বিতর্কিত এই লেখিকা।

আইনিউজ/এসডি

‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’- কার উদ্দেশ্যে পরীমনির এমন বার্তা?

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ