আপডেট: ১৪:৫৯, ২৯ আগস্ট ২০১৯
চা বাগানে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক প্রকাশনা ও প্রামাণ্যচিত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া চা বাগানে মাতৃমৃত্যু হ্রাস করা সম্ভব না। সরকারের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এসব সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করা সম্ভব বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে। এজন্য জেলা পর্যায়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে একসাথে বসে কাজ করতে হবে। সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড) আয়োজিত এক ডেসেমিনেশন সেমিনারে এসব কথা বলেন সেমিনারের প্রধান অতিথি এবং মৌলভীবাজার জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো: আব্দুর রাজ্জাক।
সেড ছয় মাসব্যাপী গবেষনা শেষে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক ম্যানুয়াল, ফ্লাইয়ার এবং পোস্টার প্রকাশ করে এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে। এসব প্রকাশনা ও প্রামাণ্যচিত্র চা বাগানের মা ও মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে আগ্রহীদের ব্যবহারের জন্য। এসব সামগ্রী তৈরিতে সেড-কে সহায়তা করেছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)।
আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, "চা বাগানের মায়েদের সুস্বাস্থ্যের জন্য বেসরকারি পর্যায়ের যেসব প্রকল্প আছে সেগুলোকে সরকারি প্রকল্পের সাথে সমন্বয় করতে হবে। বাগান পর্যায়ে সিআইপিআরবি'র যেসব বাগান সেবিকা আছে তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট কর্মকান্ডের মধ্যে এনে সেবা কাজ পরিচালনা করতে হবে। তাহলেই বাগান পর্যায়ে সেবা মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পথ সহজ হবে।"
সেমিনারের শুরুতেই সেড-এর পরিচালক ফিলিপ গাইন চা বাগান এবং অন্যান্যদের ব্যবহারের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক প্রকাশনা ও প্রামাণ্যচিত্র সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, "চা বাগানের মানুষ নানা বৈষম্যের শিকার। বৈষ্যমের শিকার মানুষকে সেবা দিয়েও সুফল পাওয়া যায় না। চা বাগানে মজুরি বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিকারের বিষয়ে সরকার, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে তাদের সমস্যা খুঁজে বের করে তার সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সিআইপিআরবি'র পরিচালক একেএম ফজলুর রহমান বলেন, "সেড, সিআইপিআরবি এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল, বাগান মায়েদের সুরক্ষার জন্য একসাথে কাজ করছে। এই তিন প্রতিষ্ঠান মূলত কাজ করছে সরকারের সাথে। তাদের এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।"
চা বাগানে গর্ভবতী মায়েরা যে ঘরে থাকেন তা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। একই ঘরের মধ্যে গবাদি পশু ও চা শ্রমিকেরা বাস করেন। বাগানের ডিসপেনসারিতে সামান্য কিছু ওষুধ ছাড়া বাকী ওষুধ পাওয়া যায় না। এসব সমস্যা সমাধান করতে না পারলে বাগানের মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না।
আলীনগর চা বাগানের রাজীব কৈরী বলেন, "চা বাগানের মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়েও স্বাস্থ্যসেবা পান না। হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। যেকারনে অনেক দরিদ্র চা শ্রমিককে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এতে অনেকেই গর্ভকালীন খরচ মিটাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পরেন।"
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, " বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন অনেক আগেই সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চা শ্রমিকদের জন্য বিশেষ কর্নার করার প্রস্তাব করা হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।" তিনি চা শ্রমিকদের মজুরি বঞ্চনা দূর করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষ সুবিধা প্রদান করার দাবী করেন।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সরকারি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং সচেতনতা সামগ্রী তৈরিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী।
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের