নিজস্ব প্রতিবেদক
মিতু হত্যা মামলা: আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পিবিআই
মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে করা মিতুর বাবার মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। তবে ২০১৬ সালের ৬ জুন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারের করা মামলাটির তদন্ত চলবে। বর্তমানে বাবুলের করা সেই মামলাতে গ্রেপ্তার রয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এ প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার (জিআরও) এস আই শাহীন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ‘পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিতুর বাবার করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছেন। আমরা সেটি কাল আদালতে জমা দেব। পরে আদালত সেটির ওপর শুনানি শেষে আদেশ দিবেন।’
গত বছরের ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন মেয়ে হত্যায় জামাতা বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। সেই মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছিল পিবিআই।
এদিকে গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় তাকেই গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর বাবুলকে তার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনটি করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
মামলার তদন্ত সংস্থা বলছে, একই ঘটনায় দুটি মামলা চলার দরকার নেই। ইতিমধ্যে বাবুল আক্তারের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেকারণে মিতুর বাবার মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে আদালতের আদেশে প্রথম মামলাটির অধিকতর তদন্ত করা হবে।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ঢাকা সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। এরপর নানা নাটকীয় ঘটনায় এক পর্যায়ে পুলিশের চাকরি ছাড়েন বাবুল।
ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। গত বছরের ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন মেয়ে জামাইকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন সেই মামলায় আসামি বনে যান বাবুল আক্তার; তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। তারপর বাবুলের দায়ের করা মামলার ফাইনাল রির্পোট আদালতে জমা দেয় পিবিআই।
- আরও পড়ুন- ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
যদিও মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন, সেটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। কিন্তু আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মিতুর বাবার করা মামলাটিও তদন্ত করছিল পিবিআই। বাবুলের ও মিতুর বাবার দুই মামলা এক সাথে তদন্ত করছেন পিবিআই’র পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
আইনিউজ/এসডি
আইনিউজ ভিডিও
ওমিক্রন এক চেনা উদ্বেগ, করোনাভাইরাসের `ভয়াবহ` ভ্যারিয়েন্ট
যেসব দেশে যেতে বাংলাদেশিদের লাগবে না ভিসা
সাজেক: কখন-কীভাবে যাবেন, কী করবেন? জেনে নিন বিস্তারিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের