Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লন্ডনে সড়ক দু-র্ঘ-টনায় ২ সন্তান সহ মা-রা গেলেন নবীগঞ্জের আলমগীর

নিহত আলমগীর হোসেন সাজু এবং তাঁর দুই সন্তান। তিন জনই মা রা গেছেন। ছবি- সংগৃহীত

নিহত আলমগীর হোসেন সাজু এবং তাঁর দুই সন্তান। তিন জনই মা রা গেছেন। ছবি- সংগৃহীত

লন্ডনে (যুক্তরাজ্যে) ম-র্মা-ন্তি-ক এক সড়ক দু-র্ঘ-ট-না-য় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার একই পরিবারের ৩ জনের মৃ-ত্যু হয়েছে। ২ শিশু সন্তানসহ নি হ ত ওই প্রবাসীর নাম আলমগীর হোসেন সাজু। তিনি লন্ডনে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দুই সন্তানসহ স্বামীকে অকালে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ হয়ে আছেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। তিনিও এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে। 

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন সাজু (৩০), আলমগীরের দুই সন্তান জাকির হোসেন (৯) ও মাইরা হোসেন (৪)। 

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ও আলমগীরের স্বজনরা জানান- নিহতদের পরিবার বার্মিংহাম শহরের নিকটবর্তী ওয়ালসালের প্লেক শেরিডান স্ট্রিটের বাসিন্দা। আলমগীর হোসেন সাজু স্বপরিবারে একদিনের সফরে বার্মিংহাম থেকে লেস্টারে গিয়েছিলেন। গত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে ফেরার পথে তাদের বহনকারী বিএমডব্লিউ কারটিকে একটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই সাজু ও তার ছেলে জাকির নি হ ত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃ ত্যু হয় ছোট মেয়ে মাইরা হোসেনের। 

এছাড়া, ওই প্রবাসীর অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী সেখানকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছেন। 

এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক যুক্তরাজ্যে বসবাসরত নূর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল বলেন- আলমগীর হোসেন সাজু বার্মিংহামের একজন ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব। তাদের মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল বলেন, আলমগীর যখন ছোট ছিল, তখন দুইবার বাংলাদেশে আসে। এরপর দীর্ঘসময় অতিক্রম হলেও বাংলাদেশে আসেনি। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। 

কুর্শি ইউনিয়নের কাদমা গ্রামের নিহত আলমগীরের আত্মীয় জাকির হোসেন জানান, আলমগীর সপরিবারের দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আসেন না। গ্রামের বাড়ি কল্যাণপুরে তাদের বাড়ি রয়েছে তবে সেখানে কেউ এখন আর থাকেনা। 

তিনি বলেন, দেশে আলমগীরের এক চাচা ছিলেন আবুল হোসেন দুলা, তিনি প্রায় এক বছর আগে মারা যান। তার অন্যান্য চাচারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। হঠাৎ আলমগীর ও তার ছেলে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি। 

কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান বলেন, কল্যাণপুর গ্রামের আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তিনি সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় আলমগীর তার ছেলে ও মেয়ের মৃত্যুর সংবাদে আমরা ইউনিয়নবাসী শোকে কাতর। দুর্ঘটনায় আলমগীরের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী গুরুতর জখম পেয়েছেন তাঁর চিকিৎসা চলছে। তিনি আলমগীর তার ছেলে ও মেয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তাদেও আত্মার শান্তি কামনা করেন।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়