হেলাল আহমেদ
আপডেট: ১২:২৯, ২৯ নভেম্বর ২০২০
চীনের বাইরে করোনা উৎপত্তির দাবি কতোটা যুক্তিযুক্ত?
গোটা বিশ্বে করোনা প্রাদুর্ভাবের এক বছর পূর্ণ হতে আর মাসখানেক বাকি। এর মধ্যেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশে। গত বছরের শেষের দিকে চীনের উহান শহর থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। কিন্তু করোনাভাইরাস ছড়ানোর দায় বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলো চীন।
চীনা গবেষকরা সম্প্রতি দাবি তোলেছেন, করোনাভাইরাস চীনের উহান নয় বাংলাদেশ কিংবা ভারত থেকে ছড়িয়েছে। যদিও করোনার সূচনা হয়েছে চীনের উহান শহর থেকেই। এবং এজন্য প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে চীনের সমালোচনাও করতে দেখা গেছে অনেককে।
বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৬৭ বছর বয়সী এক চীনা মহিলা। নাম ওয়েই গুইশিয়ান। যিনি চীনের উহান শহরের বাজারে চিংড়ি মাছ বিক্রি করতেন।
চীনা গবেষকদের দাবির নেপথ্যে কী?
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানের একটি বাজারে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। চীনের পক্ষ থেকে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে, যাতে দাবি করা হচ্ছে, উহানে ভাইরাসটি আবিস্কারের আগেই অন্য দেশে এর অস্তিত্ব ছিল।
উদাহরণস্বরূপ চীন আমদানি করা খাবারের প্যাকেটে এই ভাইরাসের উপস্থিতিকে দেখিয়েছে। তাদের দাবি প্যাকেটজাত এসব খাবার থেকেই ভাইরাসটির উৎপত্তি। এর বাইরে গত বছর ইউরোপে এ ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টি গবেষণাপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝানো হচ্ছে।
এ নিয়ে যা বলছে স্বাস্থ্য সংস্থা
তবে করোনাভাইরাসের উৎসস্থল সংক্রান্ত চীনের নয়া দাবিটিকে শুধুই একটি অনুমান নির্ভর দাবি বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ড. মাইকেল রায়ান বলেছেন, চীন থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি এমন কথা বলা একেবারে অনুমাননির্ভর। গত শুক্রবার জেনেভায় এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে রায়ান এ কথা বলেন। খবর রয়টার্স
চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিয়ে মাইক রায়ানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চীন থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি, এমন কথা বলা আমাদের পক্ষে অনুমানমূলক হবে।
রায়ান বলেছেন, সবার দৃষ্টিকোণ থেকে পরিষ্কার যে, ভাইরাসটি প্রথম কোথায় পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকেই তদন্ত শুরু করাতে হবে। তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে তখন তা অন্য জায়গায় নিতে পারে।
যে ব্যক্তির থেকে করোনা প্রাদুর্ভাবের সূচনা
প্রথম করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৬৭ বছর বয়সী এক চীনা মহিলা। নাম ওয়েই গুইশিয়ান। যিনি চীনের উহান শহরের বাজারে চিংড়ি মাছ বিক্রি করতেন।
মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর অনুযায়ি, ওয়েই গুইশিয়ান গত বছরে ১০ ডিসেম্বর হুনান সি ফুড মার্কেটে চিংড়ি বিক্রির সময় অসুস্থ হয়েছে পরেন। প্রথমে ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যান ওয়েই। প্রথমে তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু দিনের পর দিন ক্রমশ দুর্বল হতে থাকেন গুইশিয়ান। দিন দুয়েক পরই উহানের ইলেভন্থ হাসপাতালে যান। সেখানেও ধরা পড়েনি এই মারণ-ভাইরাস।
১৬ ডিসেম্বর ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় উহান ইউনিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান গুইশিয়ান। আর সেই হাসপাতালেই তাঁকে বলা হয় যে, শরীরে কঠিন রোগ বাসা বাঁধছে।
মূলত এরপরই ওই হাসপাতালে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা, যাদের সবার শরীরেই একই ধরনের উপসর্গ। গুইশিয়ানের দেখাদেখি ওই হাসপাতালে ছোটেন হুনান মার্কেটের আরও অনেক মানুষ। এমনকি অনেক ক্রেতাও আক্রান্ত হয়ে পড়েন ওই রোগে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে ওয়েই গুইশিয়ানকে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়। তাঁর শরীরে মেলে COVID-19 ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সে সময় চীনের ডাক্তাররা ধারণা করেছিলেন, উহানের ওই সামুদ্রিক খাবার বিক্রির মার্কেট থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’
- পঙ্গপাল না মেরে বিক্রি করে আয় করছেন কৃষকরা!