Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১৮, ৮ মার্চ ২০২৩

ঝুঁকি নিয়েই ভবনটিতে চলছে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ

ক্ষতিগ্রস্থ ভবনে আজ চলছে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ। ছবি- সংগৃহীত

ক্ষতিগ্রস্থ ভবনে আজ চলছে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ। ছবি- সংগৃহীত

গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আজ চলছে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ। বিস্ফোরণে ভবটির বেজমেন্ট একেবারে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই আজ উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। 

আজ বুধবার (৮ মার্চ) সকালে সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ শুরু হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা।

দিনমনি শর্মা বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টায় আমরা ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করি। এ সময় আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি বিস্ফোরণের ফলে ভবনটির বেজমেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ও যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এ অবস্থায় ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

ফায়ার সার্ভিসের এ সদস্য বলেন, সকালে সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর লোকজন ভবনটিকে সাময়িকভাবে স্টেবল করবে। ভবনটি স্টেবল হওয়ার পর আমরা পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করব। আমরা মূলত ভবনটির বেজমেন্টে অভিযান পরিচালনা করব।

মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে সাততলা ভবনের তিনতলা পর্যন্ত পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেজমেন্ট। সেখানে কী হয়েছে তা এখনো সবার অজানা। ভবনটির একদিকের বেশ কয়েকটি কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধারে অংশ নেয়া কেউ।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ভবনের বেজমেন্ট এবং নিচতলা একদমই ধসে গেছে। এ অবস্থায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। এটাকে ‘শোরিং’ করে (কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায়) উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

মাথায় আঘাত ও রক্তক্ষরণে মারা গেছেন বেশি 

এদিকে এরিমধ্যে ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল। যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগেরই মাথায় আঘাত ও রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে। কয়েকজন লোক আগুনে পুড়েও মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

মঙ্গলবার (৭মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় জাহিদ মালেক বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে সাতজন ভর্তি হয়েছেন। আমাদের আশপাশে যেসব হাসপাতাল আছে সেগুলোও ব্যবস্থা রেখেছি। ডাক্তাররাও ওখানে রেডি আছেন। এখানে জায়গার অভাব হলে পাশে যে বার্ন ইউনিট আছে, সেখানেও রোগী রাখতে পারব। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যালেও আমরা রোগী নিয়ে যেতে পারব।

আই নিউজ/এইচএ 


Eye News Youtube ভিডিও  : মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল | ICU | CCU | Dialysis | Emergency Call

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়