Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ১৬ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ২ ১৪৩২

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ৩ জুন ২০১৯
আপডেট: ১০:০০, ১০ জুন ২০১৯

ঈদ আনন্দ নেই কৃষকের ঘরে

আইনিউজ ডেস্ক: আসন্ন ঈদের আনন্দ নেই কৃষকের ঘরে। হাটবাজারে নেই ধানের ন্যায্য মূল্য। সরকারের কাছেও ধান বিক্রি করতে পারেন নি অনেক কৃষক। তাই হাতে নেই নগদ টাকা। ফলে ঈদের হাসি নেই কৃষকের মুখে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতোমধ্যে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ ছুটছেন প্রিয়জনের কাছে। কিন্তু সচ্ছল মানুষের ঘরে ঈদ আসলেও গোপালগঞ্জের কৃষকের ঘরে নেই সে ঈদের আমেজ। জানা গেছে, কৃষকরা হাট বাজারে ধান এনে দাম না পেয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ঈদের জন্য কেনাকাটাও করতে পারছেন না। 
  গোপালগঞ্জ সদরের খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর পর কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। কিন্তু বেশিরভাগ কৃষকই সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারছেন না। কারণ জেলায় উৎপাদিত ধানের ১ ভাগেরও কম ধান ক্রয় করেছে সরকার। ফলে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর পরও এ জেলার হাট বাজরে ধানের দাম বাড়েনি। জেলার হাট বাজারে মোটা ধান ৫৬০ টাকা ও চিকন ধান ৬৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ জেলায় ৭৭ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৫১ হাজার ৭৮ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর প্রায় ৪ লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। গোপালগঞ্জে এক বছরে খাদ্যের চাহিদা ২ লাখ ১৫ হাজার ৬৬২ মেট্রিক টন। শুধু বোরো মৌসুমেই ধান উদ্ধৃত্ত্ব+ থাকছে প্রায় ২ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বণগ্রামের নজরুল শেখ জানান, বৌলতলী হাটে ১০ মণ ধান এনেছিলাম। এ ধনে বেঁচে ঈদের কেনাকাটা করতে চেয়েছিলাম। হাটে ধানের দাম মোটা প্রতিমণ ৫৬০ টাকা চিকন ৬৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানে ক্রেতাও নেই। তাই ধান বিক্রি করতে না পেরে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ঈদের কেনাকাটা করতে পারিনি। এখন কিভাবে ঈদ করবো জানি না। কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি গ্রামের কৃষক আল আমিন জানান, ধান এখন বিক্রিহীন পণ্যে পরিণত হয়েছে। হাটবাজারে ধানের বিক্রি নেই। সরকারের কাছেও ধান বিক্রি করতে পারিনি। তাই হাতে নগদ টাকা নেই। পরিবারের ইচ্ছা মতো ঈদ করতে পারছি না। সদর উপজেলার বৌলতলী  হাটের আড়ৎদার অমিত বিশ্বাস বলেন,হাটে কৃষক ধান আনছেন। কিন্তু ক্রেতা নেই। এ কারণে তারা ধান বিক্রি করতে পারছেন না। গোপালগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শেফাউর রহমান জানান, “৫ উপজেলা থেকে কৃষক ধান ক্রয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধির আবেদন করেছে। আমরা এটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ছি। চলতি ধান সংগ্রহ অভিযান আমরা দ্রুত শেষ করব। এ অভিযান শেষ হলে ঈদের পর বাজারে ধানের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। ফলে ধানের দামও বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।” এইচএ/ ইএন 
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়