Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১৪ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৬, ১৯ জুন ২০২৩
আপডেট: ১২:৪৩, ১৯ জুন ২০২৩

জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী : আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁর একটি ইন্টারভিউ প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্নঃ আপনি প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা। প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। প্রচারণা শেষ। জনগণের কতটুকু সাড়া পেয়েছেন?   

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী: সিলেটেই আমার জন্ম। আমার লেখাপড়া সিলেট সরকারি কলেজে এবং রাজনীতির শুরুও সিলেটেই। আমি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলাম। বাইরে থাকলেও আমি রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে সিলেটের জন্য কাজ করেছি। নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আমি প্রথম হলেও সিলেটের নির্বাচন কাছ থেকে দেখার এবং নির্বাচনে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। সিলেটের বিগত দুটি সিটি নির্বাচনে আমি ছিলাম। এবার প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়ে আমি দেখেছি সিলেটের মানুষ খুবই সচেতন। রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ। তারা উন্নয়ন চায়। তারা কাজ চায়। তারা কার মাধ্যমে কাজ হবে সেটা জানেন। অল্পদিনেই সিলেটের মানুষ আমাকে আপন করে নিয়েছেন। তারা আমার কথাগুলো শুনেছেন। আমার প্রতিশ্রুতিগুলোও শুনেছেন। তাদের কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছেন সিলেটের উন্নয়ন হবে। সব মিলিয়ে সিলেটের মানুষজনের থেকে ইতিবাচক সাড়া আমি পেয়েছি। 

প্রশ্নঃ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কতটুকু সাড়া পেয়েছেন?  

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী : ১০ জন ছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাশী। সকলেই আমার চেয়ে যোগ্যতর। কিন্তু দল আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর সবাই দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। সবাই আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী আমাকে কাছে টেনে নিয়েছেন। যেকোন সুবিধা অসুবিধায় আমি দলের পাশে যেমন ছিলাম তেমনি দলের নেতাকর্মীদের পাশেও সাধ্যমতো দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। কে কার পক্ষে বা কোন গ্রুপের আমি তা কখনও দেখিনি। ফলে নেতাকর্মীরা আমাকে কাছের মানুষ মনে করে। আমি দল থেকে অভূতপূর্ব সারা পেয়েছি।

প্রশ্নঃ বিগত নির্বাচনেও দৃশ্যত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন সবাই?

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী আমাকে নিয়ে অন্য যেকোন বারের চেয়েও বেশি ইউনাইটেড। বিগত নির্বাচনে দলের সাংগঠনিক ইউনিটি এমন ছিলো না। ছত্রভঙ্গ টিম ছিলো। এবার নিজেরা বিভিন্ন জোনে ভাগ করে, নিজেরাই সেই দায়িত্ব নিয়ে নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করছেন। এবার সাংগঠনিক কোনো দুর্বলতা নেই। সকলের মধ্যে মেয়র পদটি পুনরুদ্ধারের তাগিদ রয়েছে। 

প্রশ্নঃ ১০ বছর পর মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিকে কিভাবে মুল্যায়ন করবেন? 

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ  দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় কিন্তু নগরভবনে তাদের একসেস ছিলো না।  ১০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ নগর ভবনের দায়িত্বে না থাকার যে শূণ্যতা ছিলো এ কারণেই নেতাকর্মীদের মধ্যে তাগিদটুকু বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাদের মধ্যে কর্মস্পৃহা বেড়েছে। গতি বেড়েছে। নির্বাচিত হলে শুধু নেতৃবৃন্দ নয়। সকলস্তরের কর্মীদেরও এক্সেস থাকবে। নগর ভবনে শুধু দলীয় নেতাকর্মীই নয়, সাধারণ মানুষেরও এক্সেস থাকবে।

প্রশ্নঃ প্রচার প্রচারণায় দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে ঘিরে রেখেছেন, নির্বাচিত হলে উন্নয়ন কর্মকান্ডে তাদের প্রভাব কতটুকু থাকবে? 

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হতে পারলে নগরভবনে প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নই ওঠে না। প্রভাব খাটানোর কেপাসিটিই তো তাদের থাকবে না। নেতাকর্মীরা আসবেন। দেখা করবেন। সুযোগ সুবিধা নেতাকর্মীরা পাবেন। তার মানে অন্যরা পাবে না, তা নয়। সিটি মেয়র হয়ে গেলে সকল নাগরিকের জন্য সমানাধিকার থাকবে। আমার ঘনিষ্ট কেউ যদি লাইনের বাইরে চলে যান বা অকারেন্স ঘটান, তিনি বিপদে পড়বেন। আমার দ্বারাই তিনিই বড় ভিকটিম হবেন। ম্যাসেজ ক্লিয়ার। রেকর্ড করে রাখেন। এটা হবেই না।

প্রশ্নঃ কেন মনে করছেন অন্য প্রার্থীদের চেয়ে আপনি বেটার?

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ আমি ইয়াং। এনার্জেটিক। দৌড়ঝাঁপ করতে পারবো। কাজ করতে পারবো। রাজনীতি তো দেশের জন্য করি। এলাকার জন্য করি। পতাকার জন্য করি। আমার ছোট বেলার স্বপ্ন ছিলো জনপ্রতিনিধি হয়ে সিলেটের উন্নয়ন কাজ করার। সেই সুযোগ যখন সৃষ্টি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আমাকে নমিনেশন দিয়েছেন আমি ডেভোলাপমেন্ট করতে চাই। সিলেটকে নিয়ে আমার যে উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে তা আমি জনগণের কাছে বিভিন্ন সময় তুলে ধরেছি। যদি রাজশাহী সিটি উন্নয়ন করে দেশের উদাহরণ হতে পারে সিলেট কেন পারবে না? সিলেটকে নিয়ে এসব উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো জনগণ বুঝতে পেরেছেন যে আমি আমার প্রতিশ্রুতির ১০০ ভাগ করতে না পারলেও ৯০ ভাগ করতে পারবো। তাই জনগণ সিলেটের উন্নয়নের জন্য আমাকে ভোট দিবেন।

প্রশ্নঃ তাহলে কী আপনার গোল রাজশাহীর উন্নয়ন মডেলকে বিট করা? 

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ শুধু রাজশাহী নয়। এ নিয়ে আমার বড় স্বপ্ন আছে। বেশি বলতে চাইনা এখন।  অন্যান্য ইন্টারন্যাশনাল নতুন যে সিটিগুলো হয়েছে সে আদলে সিলেটকে সাজাতে চাই। যদিও মেইন সিটিকে সেভাবে পারা যাবে না। জায়গা কম। তবে উপকন্ঠের বর্ধিত অংশকে সেভাবে সাজাতে চাই। অনেক আইডিয়া আছে।

প্রশ্নঃ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে কী না?

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ অবশ্যই হচ্ছে। নির্বাচন জমজমাট। ৮ জন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। কাউন্সিলর প্রর্থীরা আছেন তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা কাজ করছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী স্ট্রং। না হওয়ার তো কারণ দেখিনা। মানুষের মধ্যে স্পিরিট আছে। মানুষ ভোট দিতে আসবে। আমরাও জনগণকে ভোটে নিয়ে আসতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। যাকেই ভোট দিক না কেন সে যেনো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসে। এতে আমি ফেল করলেও সমস্যা নেই। ভোটাররা যেনো ভোট দিতে আসেন। বিএনপির প্রার্থীরাও তো আছে। ওরা তো ৪৩ জনকে বহিস্কার করেছে তা থেকেই তো প্রমাণ হয় ওরাও নির্বাচনে আছে। ভোট বর্জনের আহবান নেতাকর্মীরা মানছে না।

প্রশ্নঃ বরিশালের নির্বাচনের চিত্র অনুযায়ী বিএনপি থেকে ভোটারদের বাঁধা দেওয়ার কোন আশংকা করছেন কী?  

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ বিএনপির ভোট বর্জন এটা রাজনৈতিক কথা। ওরা দিতেই পারে কিন্তু বাধা দেওয়া অপরাধ। এরকম হলে বিদেশে জেল হয়ে যেতো। এটা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। তবে সিলেটে রাজনৈতিক যে সোহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান আমি সিলেটে সেটি আশংকা করছি না। সিলেট তো অন্য জেলা থেকে ভিন্ন। 

প্রশ্নঃ জাতীয় পার্টিও প্রার্থীর অভিযোগ আপনি হলফনামায় সার্টিফিকেট ও আয় নিয়ে তথা গোপন করেছেন? 

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ আমি তো তথ্য গোপন করিনি। সব মিস ইনফর্মেশন। আমার তো সার্টিফিকেট আছে। আয় যা আছে তা দিয়েছি। ইংল্যান্ডে বিজনেস আছে। বাড়ি আছে। সেটাতো অন্য টেরিটরি। ইনকাম লন্ডনে আছে। অফিসিয়ালি তা দেখাতে পারি না। এখানে নেই তাই দেই নাই। কেন বাড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দেবো। আমি মিথ্যার আশ্রয় নেইনি। এখানে যা আছে তা দিয়েছি।

প্রশ্নঃ বিগত ১০ বছরের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ ইতিবাচকভাবে দেখছি। তিনি তো কিছু কাজ ভালো করেছেন। রাস্তাঘাট বড় করেছেন। তবে অপরিকল্পিত কাজ করেছেন। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ রয়েছে। আরিফুল হক খুব খারাপ করেছেন তা বলবো না। কামরান ভাই একটা ফেইজ করেছেন। আরিফ ভাইও একটা ফেইজ করেছেন। আমি তাদের থেকে আরও ভালো করতে চাই। বিগত ১০ বছরে সিলেটের জন্য ২৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। তবে অপরিকল্পিত কাজের কারণে সরকারের অর্থের অপচয় হয়েছে। 

প্রশ্নঃ আপনার দৃষ্টিতে সিলেটের প্রধান সমস্যা কী কী?

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ প্রথমেই প্রয়োজন স্মার্ট নগরভবন। মহানগরের যাবতীয় নাগরিক সেবা পরিচালিত হয়  যে ভবন থেকে তা যদি হয় অপর্যাপ্ত, অপূর্ণাঙ্গ ও অদক্ষ, তখন জনগনকে কাঙ্ক্ষিত যুগোপযোগী সেবা প্রদান অসম্ভব। একসময় প্রকৃতি কন্যা বলা হতো সিলেটকে। সুন্দরী শ্রীভূমিও বলা হতো। কিন্তু আজ গাছ নাই। সবুজ প্রকৃতি আজ বিনষ্ট। রাস্তাঘাট, বাসা-বাড়ি নির্মাণ এবং নগর পরিকল্পনায় সবুজকে প্রাধান্য দেয়াসহ সবুজ সিলেট গড়ে তুলতে এলাকাভিত্তিক পরিকল্পিত বনায়ন এসব করতে হবে। রাস্তাঘাট সুন্দর করতে হবে। এছাড়া অপরিচ্ছন্নতা অন্যতম সমস্যা। নগর পরিচ্ছন্ন রাখতে ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে হবে। জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে। শহর রক্ষা বাঁধ, সুরমা নদী খনন, চা বাগানে গার্ড ওয়াল দিতে হবে। যানজটমুক্ত নগরী গড়তে হবে। তবে যাই করা হোক না কেন, করতে হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও  মতামতের ভিত্তিতে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসতে হবে।

পর্যটন নগরী নিয়ে আপনার কোন পরিকল্পনা আছে কী? 

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ সিলেট নগরীতে পর্যটকদের জন্য বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে সিলেটের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য নগরীতে একটা মিউজিয়াম স্থাপন ও সুরমা নদী ও নদীর তীরকে ঘিরে পর্যটকদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা ও একটি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স তৈরি করতে চাই।

প্রশ্নঃ নগরভবনে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট সক্রিয়, সেবার মান নেই। আপনি কী করবেন?

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ সিটি কর্পোরেশন হলো সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সেবা দিতে হবে। আমি নির্বাচিত হলে মাস্টার রোলের নিয়োগে গরীব মানুষ যারা চাকরি পেয়েছে তাদেরকে মানবিক কারণে বাদ দেওয়া যাবে না। তবে আর কোন অবৈধ নিয়োগ যেনো না হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতি, বাণিজ্য, অবৈধ কোন কিছু আর করতে দেয়া হবে না। সেবা দিতে হবে। না হয় আমি থাকবো না।

প্রশ্নঃ সিলেটে বঙ্গবন্ধুর নামে কোন স্থাপনা নেই। পুরনো জেলখানার জমিতে বঙ্গবন্ধু উদ্যান করার দাবি রয়েছে নগরবাসীর?

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ সিলেটে বঙ্গবন্ধুর নামে কোন স্থাপনা নেই এটা ঠিক। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামে কিছু করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির বিষয় রয়েছে। তবে আমি নির্বাচিত হলে কিছু করতে চাই। এ বিষয়ে আমার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। তবে জেল খানার স্থানটি নিয়ে নগরবাসীর অনেকদিন থেকেই দাবি রয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে খোঁজ খবর না নিয়ে কি করা যাবে তখন বলা যাবে না। তবে নগরীতে উদ্যান দরকার। নগরীর শিশু বৃদ্ধ নারীদের অবসর ভ্রমণের জন্য. এখানে না হলেও সুরমার তীরবর্তী স্থানে নিরাপদ উদ্যান করা যাবে। 

প্রশ্নঃ আপনি এমন সব প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন যেগুলো সিলেট সিটি মেয়রের কাজের মধ্যে পড়ে না। 
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ দুএকটা প্রতিশ্রুতি আমি তো দিচ্ছি। আমি বলছি হাইস্পিড ট্রেন আমি চালু করবো। আমি বলছিও এটা সিটির প্রজেক্ট নয়। আমি সিলেটের মেয়র হবো আর আমি কি সিলেটের জন্য কাজ করবো না? ট্রেন রাজধানী থেকে সিলেট আসবে। তা দিয়ে সিলেটের মানুষজনই যাতায়াত করবেন।  আমি শুধু সিলেট সিটির মানুষের জন্য না, পুরো সিলেটের জন্য কাজ করবো। সুযোগ যখন সৃষ্টি হয়েছে, নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে তা আদায় করবো। এটা আমার স্বপ্ন। এটি বড় কাজ। এটা দিয়েই কাজ শুরু করতে চাই। ড্রেন সবাই করতে পারে। বড় কাজ ক’জন করতে পারে।

প্রশ্নঃ বিকল্প বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কী করবেন? 

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ  সিলেটে প্রতিদিন ২২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎের প্রয়োজন। নগরীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি কিংবা জ্বালানী সংকটের জন্য প্রায়ই লোডশেডিং হয়। আমি নির্বাচিত হলে ৩১ নং ওয়ার্ডে একটা ৩০০ মেঘাওয়াটের বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের কথা বলছি। এটা সোলার হবে? না কি প্ল্যান্ট হবে? বা কী পদ্ধতিতে হবে সেটা পরিকল্পনা করে, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে করতে হবে। যেটা বেটার হবে সিলেটের জন্য সেটাই করতে হবে। আগামী ৫০ বছরের জন্য চিন্তা করে একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে চিন্তাভাবনাটি। ন্যাশনাল গ্রীডে থাকবে তবে ব্যবহার করবে সিলেট সিটি। তবে এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর পারমিশন প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী সিলেটবাসীর জন্য সেটার অনুমতি দিবেন।

প্রশ্নঃ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিগত ১০ বছর থেকে যানজট নিরসন, হকার ও ছড়া উচ্ছেদ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। আপনি কতটুকু আশা দেবেন নগরবাসীকে?

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ আশাবাদী। তবে কেয়ারফুলি এড্রেস করতে হবে। হকার ও সিএনজি আমাদের জন্য একটা সমস্যা ঠিক আছে। কিন্তু তারা তো এই নগরের মানুষ, এই দেশের মানুষ। এই নগরীতে বসবাস করেন। আমাদের দেশে জবের সংকট আছে। ইন্ডাষ্ট্রি নেই। আমরা যদি স্পষ্টভাবে তাদের বিরুদ্ধে  একশনে যাই, তাহলে চুরি ডাকাতি বেড়ে যাবে। কয়েক হাজার মানুষ বেকার হয়ে যাবে। এটাতো একদিনের বিষয়। একদিনে সিটি ক্লিন করে ফেলা যায়। তখন ওরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কোথায় যাবে? প্ল্যান করে উইক এন্ড মার্কেট, সন্ধ্যা মার্কেট করে তাদেরকে স্মার্টলি পুনর্বাসন করতে হবে। নগরীতে পরিকল্পিতভাবে সিএনজি স্ট্যান্ড করতে হবে। ওরা তো নগরের মানুষকেই পরিবহন করে। ওদের দিকটাও দেখতে হবে। অবৈধ সিএনজিগুলো যেনো নগরীতে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি নগরবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে হকার উচ্ছেদও চাই পুর্নবাসনও চাই। তবে যা করি না কেন মাস্টার প্ল্যানের আওতায় নিয়ে এসে করতে হবে।

প্রশ্নঃ আপনি নির্বাচিত হলে ৫ বছরের পরের নগরের চিত্র কেমন দেখতে চান? 

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীঃ যদি আল্লাহর হুকুম হয় আমি একবারের জন্যেই মেয়র হতে চাই। এরপর আর জনগণ আমাকে ভোট দিবে না। জনপ্রিয়তা থাকবে না। কারণ ঐ যে বড় বড় মানুষ, সে জানে সে ছড়ার মাঝে ঘর বানিয়েছে। তাদের বাড়ি-ঘর ভাঙ্গলে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করবে। আরিফুল হক চৌধুরী এই বিপদেই পড়েছেন। আরিফভাই চেষ্টা করেছেন। অন্য দিকে কী করছেন তা আমি জানি না। কিছুতো অবশ্যই আছে। অকারেন্স নাই এটা আমি বলবো না। ভালো কাজ করতে গিয়েও মানুষ বিপদে পড়েন। আমি ৫ বছরের মধ্যে যা আছে সব ভেঙ্গে, উচ্ছেদ কমপ্লিট করে আমার কাজ শেষ করবো। আমি এরপর আর মেয়র হতে চাইবো না। 

সূত্র : দ্য ডেইলি ম্যাসেঞ্জার

আইনিউজ/ইউএ

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ