Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ৫ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ২০:৩২, ৪ জানুয়ারি ২০২৩

মৌলভীবাজারে রাতের তাপমাত্রা নামবে ১১ ডিগ্রিতে

মৌলভীবাজারে জেঁকে বসেছে শীত। টানা দুইদিন ধরে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রাতে মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা নামবে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যদিও দিনের বেলা তাপমাত্রা ছিলো ১৯ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শ্রীমঙ্গলে সন্ধ্যারাতে তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গলে টানা দুই দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
হিমশীতল ঠাণ্ডায় কাঁপছে চা-বাগান, হাওর ও পাহাড়-সমতল ঘেরা মৌলভীবাজার জেলাবাসী। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে- আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবারও শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, চলতি শীত মৌসুমে আজ বুধবার ও গতকাল মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটা এখন পর্যন্ত দেশের তাপমাত্রা। 

আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সেটা আরো কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।

মৌলভীবাজারে রাতে তাপমাত্রা নামবে ১১ ডিগ্রিতে
অ্যাক্কুওয়েদারের তথ্যমতে আজ বুধবার দিবাগত রাতে মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা নামবে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যদিও দিনের বেলা তাপমাত্রা ছিলো ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা অনুভূত হয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে গুগল বলছে শ্রীমঙ্গলে আজ বুধবার সন্ধ্যারাতে তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অ্যাক্কুওয়েদার বলছে আগামীকাল দিনের বেলা মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াম। তবে সেটা অনুভূত হবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াম। থাকবে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া। তবে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হতেও পারে। 

এ পরিস্থিতি শহর এলাকার। গ্রামে শীতের মাত্রা আরো বেশি। বিশেষ করে হাওর, চা-বাগান ও পাহাড়ি এলাকায়।

শীতের মানুষের কষ্ট
বুধবার মৌলভীবাজারের বড় হাওর এলাকায় জমিতে কাজ করছিলেন কৃষক রমিজ মিয়া। গায়ে চড়ানো ছেড়া শার্ট আর পাতলা একটি চাদর। শীতে অনেকটা কাঁপছিলেন। রমিজ মিয়া বলেন, এতো শীত পড়েছে। আমাদের গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। কেউ যদি শীতের কাপড় দিতেন, তাহলে এবারের শীতটা নিবারণ করতাম।

কাগাবলা থেকে জেলা শহরে আসছিলেন সিএনজি চালক আশিক মিয়া। তিনি বলেন, মনে হয়েছে হিমালয়ের সকল সকল শীত যেন গ্রামে এসে নেমেছে। শহরের চেয়ে গ্রামে শীতের অনুভূমি দ্বিগুণ- বলছিলেন আশিক মিয়া। 

এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রেমনগর চা-বাগানের শ্রমিক রিক্তা তাঁতী বলেন, ‘বাগানের মানুষ বাঁচবে কিভাবে। ভাঙা ঘরে দুনিয়ার সব ঠাণ্ডা এসে ঢুকে যায়। এবার কেউ শীতের কম্বল দিচ্ছে না।’    

এদিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের চলাফেরা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জেলার চা বাগান ও পাহাড়ি এলাকাগুলোতে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে বেশি। ফলে সকাল বেলায় কাজকর্মে বের হতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চা শ্রমিক থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে সকালবেলা রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ