Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২০ অক্টোবর ২০২৫,   কার্তিক ৫ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ১০ এপ্রিল ২০২১
আপডেট: ২০:৪৬, ১৩ এপ্রিল ২০২১

মামুনুল হকের আরেক বান্ধবীর সন্ধান

মামুনুল হক। গত একসপ্তাহ ধরে দেশে বহুল আলোচিত হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সাথে আটক হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই বেরিয়ে আসে তার বিষয়ে অনেক গোপন তথ্য। জানা যায়, জান্নাত আরা ঝর্না নামের ওই নারীকে তিনি বিয়েও করেননি, সেই নারীর দুই সন্তানও আছে। এছাড়াও আরও অনেক।

এসব আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই মামুনুল হককে নিয়ে আবারও বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার নতুন আরেক বান্ধবীর সন্ধান পেয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। নতুন এই বান্ধবীর পুরো নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনিও তার বিয়ে করা স্ত্রী না।

আশ্চর্যজনক এই তথ্য বেরিয়ে আসতেই হতভম্ব গোয়েন্দারা। এ যে আরেক জান্নাত, কিন্তু একই শিকার। ওল্ড ওয়াইন ইন নিউ বটল।

মামুনুলের ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে নতুন এই নারীর সম্পর্কে যাচাই-বাছাই শেষে গোয়েন্দারা আরও নিশ্চিত হয়। তবে মামুনুল হকের আগের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম জান্নাত আরা ঝর্না হওয়ার কারণে এই জান্নাতের পরিচয় নিশ্চিত করতে দারুণ বেগ পেতে হয়। তবে মামুনুল এবং জান্নাতের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বর্তমানে গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে।

জানা গেছে, জান্নাতুল ফেরদৌসের নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড অনুযায়ী তার বাবার নাম জামাল। মা আকলিমা বেগম। ঠিকানা- গাজীপুর কাপাসিয়ার বানার হাওলা’য়। জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৯০।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের জান্নাতুল বায়াত মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন মামুনুলের এই বান্ধবী। মাদ্রাসার পাশেই একটি বাসা ভাড়া করে থাকেন। এই বাসাতেই মাওলানা মামুনুল হক মাঝে-মধ্যেই যাতায়াত করতেন। নিয়মিত যোগাযোগও ছিল।

পাশাপাশি একান্তে সময় কাটানোর অনেক উপকরণও হাতে পেয়েছে গোয়েন্দারা। অনেক তথ্য প্রমাণও এসেছে গণমাধ্যমের কাছে। জান্নাতুল বায়াত মহিলা মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে বর্তমান সময়ের আলোচিত ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় এক হোটেলে নারীসহ অবরুদ্ধ ছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে র‍্যাব-১১, পুলিশ ও প্রশাসনের মানুষজন ঘটনাস্থলে হাজির হন।

পরে ওই নারীকে (জান্নাত আরা ঝর্না) দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেন তিনি। এ বিষয়ে ওই নারীর পরিচয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ও

কিন্তু সবকিছু ওলট-পালট করে দেয় মামুনুল হকের ভাইরাল হওয়া ওই ফোনালাপ। তাতে তিনি ওই নারীকে ‘শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের ওয়াইফ’ বলছেন। 

সন্ধ্যার দিকে আটক হওয়ার পর মামুনুল ইসলাম ঐ রিসোর্টেই ছিলেন। মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্ট থেকে নিয়ে গেছেন তার সমর্থকরা।

মামুনুল হক অবরুদ্ধ থাকার সংবাদ শুনে কয়েকশ মানুষ রিসোর্টটির সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় তারা স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। পরে সেখান থেকে তাকে পাশের একটি মসজিদে নিয়ে যায় তারা।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) তবিদুর রহমান বলেন, রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হেফাজতের কর্মীরা।

এছাড়াও এরপর এক ভিডিওতে নিজেদের মধ্যে একান্তে সময় কাটাতে সোনারগাঁয়ের ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মামুনুল হকের ওই 'দ্বিতীয় স্ত্রী'।

এতে নিজেকে ফরিদপুরের আলফাডাঙার আমিনা তৈয়ব  বলে পরিচয় দেন ওই নারী। আমিনা তৈয়ব বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে দেখতে আমরা এদিকে এসেছি। জোহরের পর একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য এখানে এসেছিলাম। লাঞ্চ করে একটু রেস্ট নিচ্ছিলাম। 

পরে জান্নাত আরার লিখা ডায়েরি থেকে বেরিয়ে আসে আরও তথ্য। আর্থিক দায়িত্ব নেওয়ার বিনিময়ে ২০১৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরার সঙ্গে গোপন সম্পর্ককে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কে রূপ দেন রিসোর্ট কাণ্ডে আলোচিত হেফাজত নেতা মামুনুল হক। জান্নাতের তিনটি ডায়েরি অনুযায়ী তাদের মধ্যে চলতি বছরের ৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরাসরি বিয়ের তথ্য নেই।

আইনিউজ/এসডি

[আইনিউজের ফেসবুক পেইজে মামুনুল হককে আটকের ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন]

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়