Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২২ ১৪৩২

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ১৪ জুলাই ২০২৪
আপডেট: ১৩:০১, ১৪ জুলাই ২০২৪

মৌলভীবাজারে বিকাশ, নগদ ব্যাবহারকারী পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

দেশের বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের লোগো। ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের লোগো। ফাইল ছবি

মৌলভীবাজার জেলার মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগই নারী। প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার পুরুষের বিপরীতে এ জেলায় নারীর সংখ্যা ১১ লাখ ২ হাজার। জেলার নানা ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীদের হারও বেশি। নিজস্ব  মোবাইল ব্যবহারে জেলায় পুরুষদের হার বেশি থাকলেও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের বেশি নারীদের হার। তেমনি, মোবাইল ব্যাংকিং ক্ষেত্রেও নারীদের হার পুরুষদের চেয়ে বেশি। 

জেলা পরিসংখ্যার এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী মৌলভীবাজারে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ও তনুর্ধ্ব অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা ২৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। যার মধ্যে নারীদের চেয়ে প্রায় ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি পুরুষদের সংখ্যা।  যদিও মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে এগিয়ে নারীদের ব্যবহারের হার। 

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২৪ এর প্রতিবেদন বলছে, মৌলভীবাজার জেলায় মোট মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, উপায়, রকেট ইত্যাদি) অ্যাকাউন্টধারীর হার ৩০ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর মধ্যে নারীদের ব্যবহারের হার পুরুষদের চেয়ে বেশি। জেলার ৪৩ দশমিক ০৩ শতাংশ নারী (১৫ বছর ও তনুর্ধ্ব) মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সাথে যুক্ত। বিপরীতে,  ২০ দশমিক ৩১ শতাংশ পুরুষের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট রয়েছে। 

যদিও অনেকেই বলছেন, তথ্যগত দিক থেকে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টধারী নারীদের হার বেশি হলেও বাস্তবে তা অনেক কম। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, নারীদের এনআইডি ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট চালু করা হলেও সেটি আদতে ব্যবহার করেন পরিবারের পুরুষরাই। এসব ক্ষেত্রে নারীদের নামে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থাকলেও তারা ব্যবহারের আওতায় থাকেন না। অনেকেই, জানেনও না তার নামে যে বিকাশ, নগদ বা রকেট অ্যাকাউন্ট চালু রয়েছে। 

তবে ভিন্ন কথা জানাচ্ছেন কিছু সচেতন নারীরাও। তাদের মতে, বিগত এক দশকে জেলায় স্বাবলম্বী নারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। যাদের বেশিরভাগই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। তারা নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে সহজ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে। আর এতে করে নিজেদের কাজের সুবিধার্থেই আগের তুলনায় অনেক বেশি নারী মোবাইল ব্যাংকিং এর আওতাভুক্ত হয়েছেন। 

প্রিয়াংকা নামের একজন উদ্যোক্তা নারী বলেন, অনলাইনে আমার ব্যবসা শুরু করার পর আমিও একটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট (বিকাশ/নগদ) খুলেছি। ব্যবসার কাজেই খুলতে হয়েছে। আমাদের পেমেন্টগুলো ক্ষুদ্র আকারের হয়ে থাকে। ফলে, মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেই এটি সবচেয়ে সহজে করা যায়। 

এদিকে একই প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারেও পুরুষদের চেয়ে নারীদের হার অনেক বেশি। জনশুমারি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী জেলায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোট জনসংখ্যার ৩৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে পুরুষের হার ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, নারী ৪৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

জেলায় নিজস্ব মোবাইল ব্যবহারকারী পুরুষের হার ৭৮.৬৯ শতাংশ। বিপরীতে জেলার ৪৮.৫২ শতাংশ নারী নিজস্ব মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ পান। যদিও, ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে জেলায় এগিয়ে নারীরা। জেলার ৪৫.৬৯ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। 

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়