Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

মো. হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ১৩ অক্টোবর ২০২২

খড়ের বিনিময়ে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন খড় ব্যবসায়ীরা

মাড়াই করতে ব্যস্ত খড় ব্যবসায়ীরা

মাড়াই করতে ব্যস্ত খড় ব্যবসায়ীরা

নীলফামারীর ডিমলায় অর্থ নয় খড়ের বিনিময়ে কৃষকের আগাম আমন ধান কেটে দিচ্ছেন খড় ব্যবসায়ীরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে উচু জমিতে উন্নত জাতের হাইব্রীড ও বিভিন্ন আগাম জাতের ব্রি-ধান চাষ করা হয়। ফলে আগাম ধান কর্তন করা যায় এবং খড় গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

খড় ব্যবসায়ীরা কৃষকের জমি থেকে আগাম জাতের পাঁকা ব্রি-ধান কেটে মেশিনের সাহায্যে মাড়াই করে বিনিময়ে নিয়ে যাচ্ছেন খড়। এই খড় স্থানীয় বাজারে গো-খাদ্য হিসেবে বিক্রি করবেন বলে জানান।

ফলে এক দিকে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছে অন্য দিকে খড় ব্যবসায়ীরাও শ্রমের বিনিময়ে খড় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।

আগাম জাতের ধানের বৈশিষ্ট হল অল্প সময়ে কর্তন করে সেই জমিতে আগাম আলু, সরিষা, ভুট্টা, মরিচ, কপি, মুলা সহ অন্যান্য সবজী জাতীয় ফসল রোপন করা যায়।

স্থানীয় কৃষক সুমন ইসলাম জানান- এক বিঘা (৩০ শতাংশ) জমির ধান কাটতে শ্রমিক খরচ দুই থেকে তিন হাজার টাকা প্রয়োজন। ধান কাটার পর মেশিন দিয়ে মাড়াই এর জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়।

একশত ধানের আঠি (কাড়িয়া) বাজারে তিনশত টাকা বিক্রি হবে

বর্তমানে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন মুজুরী পাঁচশত টাকা, শ্রমিক ভোগান্তি ও আবহাওয়া অনুকুল না থাকায় খড় শুকাতে কষ্ট সাধ্য তাই খড়ের বিনিময়ে মুজুরী বাবদ খরচ সাশ্রয় হচ্ছে এতে ধান কর্তন বাবদ অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকের রোপনকৃত জমি থেকে আগাম আমন জাতের ধান কাটতে ও মাড়াই করতে ব্যস্ত খড় ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন- জমির মালিকের নিকট হতে আগাম আমন জাতের ধান বিঘা প্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে চুক্তিতে নিয়েছি। আমরা কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছি আবার অতিরিক্ত টাকাও দিচ্ছি, জমির মালিককে আর কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না।

শ্রমিক ফারুক হোসেন জানান- একশত ধানের আঠি (কাড়িয়া) বাজারে তিনশত টাকা বিক্রি হবে। আর্শ্বিন-কার্তিক মাসে কোন কাজ না থাকায় আমরা কয়েকজন শ্রমিক দল বেধে চুক্তিতে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছি সেই খড় নিজেরা স্থানীয় বাজারে আঁঠি বেঁধে স্থানীয় ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করি এবং অন্যান্য খড় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করি। যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে দলের শ্রমিকরা সমান ভাগে ভাগ করে নেই। উপজেলায় খামারিদের গো-খাদ্যের চাহিদা থাকায় এতে আমরাও লাভবান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন আগাম জাতের ব্রি-ধান ও  হাইব্রীড ধান রোপনে রোগ বালাই কম থাকায় কৃষকেরা অনেক খুশি। একই জমিতে বৎসরে তিন ফসল ঘরে তুলতে পারবে কৃষকেরা।

আগাম জাতের ধান রোপন করে আগাম কর্তন করতে পারে এবং ঐ জমিতে তেল জাতীয় ফসল সরিষা, সূর্য্যমূখী, ভুট্টা, আলু, বাদাম ইত্যাদি রবিশস্য রোপন করতে পারবে।

আইনিউজ/এইচএ

আইনিউজে আরও পড়ুন-


দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি

সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের দেশ ।। Most beautiful woman in the world ।। Eye News

যে গ্রামে পুরুষ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন নারীরা | Women are pregnant without men | Kenyan Girls | Eye News

চুল বেঁধে ঘুমিয়ে নিজের যে ক্ষতি করছেন ।। Hair loss problems

পায়খানা ও প্রস্রাব দীর্ঘক্ষণ চেপে রাখলে যে ক্ষতি হয়??

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়