নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজনৈতিক দলগুলোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ডা. জাফরুল্লাহ

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জাতীয় সরকারে বড় কোনো রাজনৈতিক দলের কেউই এখনো সাড়া দেয়নি৷ উল্টো তারা এই প্রস্তাবের সমালোচনা করছেন। তবে জাফরুল্লাহর কথা, কেউ সাড়া না দিলে তার কিছু করার নেই।
মঙ্গলবার (১৭ মে) জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে তার এমন কথা।
'রাজনৈতিক দলগুলোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে৷ এখানকার রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হবে৷ তাদের কপালে দুঃখ আছে।'
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে তার জাতীয় সরকারের প্রস্তাব তুলে ধরেন রোববার দিবাগত রাত ১২টার পরে৷ তিনি তার প্রস্তাবিত জাতীয় সরকারে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বা ড. কামাল হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছেন৷ তার প্রস্তাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ছাড়াও তিনি কয়েকটি দপ্তরের দায়িত্বে কারা থাকবেন তাদের নামও উল্লেখ করেছেন৷ তাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের নামও রয়েছে৷ রয়েছে পেশাজীবীদের নাম৷ তার এই প্রস্তাবের শিরোনাম হলো, ‘‘জাতির সংকট নিরসনে জাতীয় সরকার৷''
তিনি বলেন, ‘‘এই জাতীয় সরকারকে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা দেয়া হবে৷ তারা দুই বছর দায়িত্বে থাকবেন৷ সংস্কার প্রক্রিয়া এই সময়ের মধ্যে শেষ করে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন৷''
জাতীয় সরকারকে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে এবং পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে৷ দুই বছরের বেশি মেয়াদ হলে মনে হবে যেন তারা ক্ষমতা দখল করতে এসেছে বলে মনে করেন ডা. জাফরুল্লাহ৷
জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘দেশে লুটপাটে ভরে গেছে, ভোটাধিকার নাই৷ তাই এটা ঠিক করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতীয় সরকার এখন খুবই দরকার৷''
এ নিয়ে তিনি প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে কথা বলবেন কী না জানতে চাইলে বলেন, ‘‘তারা না চাইলে আমি তো আর জোর করে কথা বলতে পারব না৷ তারা যদি গায়ের চামড়া বাঁচাতে চায় তাহলে তো তাদের এই পথে যেতে হবে৷ তারা যদি শ্রীলঙ্কা দেখে না শেখে, পাকিস্তান দেখে না শেখে তাহলে কপালে দুঃখ আছে৷''
রাজনৈতিক দলগুলো সাড়া দিচ্ছে কী না? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে৷ এই প্রস্তাবের পর কেউ চক্রান্ত থিওরি বের করেছে৷ কেউ বলছে এটা আর্মি আমাকে দিয়ে করিয়েছে৷ কেউ বলছে আওয়ামী লীগ করিয়েছে৷ আমার কোনো বুদ্ধি নাই! তাদের ভাবসাব দেখে মনে হয় তাদের বুদ্ধিতে আমি চলি৷''
তার কথা, তিনি তার প্রস্তাব নিয়ে নিজ উদ্যোগে আলোচনা করতে যাবেন না৷ কেউ চাইলে কথা বলতে পারেন৷
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ডা. জাফরুল্লাহর এই প্রস্তাব নিয়ে বলেন, ‘‘দেশের যে কোনো নাগরিক তার প্রস্তাব দিতে পারেন৷ জাফরুল্লাহ সাহেবও তার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ সেটা তার স্বাধীনতা৷ জাফরুল্লাহ সাহেব যা ভালো মনে করেছেন তাই বলেছেন৷ তবে আমাদের দলের অবস্থান হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে৷ সেই নির্বাচনের পর আমরা সরকার পরিচালনায় জাতীয় সরকার গঠন করব৷ সেটা হবে একটা নির্বাচিত সরকার। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান মেরামত করার প্রয়োজন পড়বে, সংস্কার করতে হবে তাই আমরা জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করছি।''
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ মনে করেন, ডা. জাফরুল্লাহ যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা অনির্বাচিত সরকারের ধারায় ফিরে যাওয়ার মত যা ওয়ান ইলেভেনের সময় হয়েছিলো৷ বাংলাদেশে কোনো অনির্বাচিত সরকারের সুযোগ নেই।
আইনিউজ/এসডি
আইনিউজ ভিডিও
সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় এ ঈদগাহে নামাজ পড়বে ১৬ হাজার মানুষ
শহরে বেদে নারীদের চাঁদাবাজি, তাদের লক্ষ্য নিরীহ পথচারী ও যাত্রী
অনুরাধা রায় ও তার শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে মুগ্ধতা ছড়ানো ইসলামিক গজল
সৌদি আরবে মেয়েকে নির্যাতনের খবরে মায়ের আহাজারি-কান্না
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- রিজেন্ট সাহেদ মৌলভীবাজারে!
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ‘মে মাসের শেষের দিকে করোনা চরম পর্যায়ে যেতে পারে’
- তালিকা হবে রাজাকারদের
- লকডাউনের সাতদিন যা করা যাবে, যা করা যাবে না
- মুজিব শতবর্ষে কুইজ প্রতিযোগিতা, ঘরে বসে লাখ টাকার হাতছানি