Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৫,   কার্তিক ২৯ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ৩১ মে ২০২০
আপডেট: ১৭:৩০, ৩১ মে ২০২০

অন্তিম শয়ানে জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার গোলাম রাব্বানী

২৮ মে মস্তিষ্কে তীব্র রক্তক্ষরণজনিত কারণে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো,গত দুদিন ধরেই ছিলেন লাইফ সাপোর্টে।শনিবার দুপুর ১১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের পরিচালক গোলাম রব্বানী হেলাল।

৬৭ বছর বয়েসী হেলাল মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

বাফুফে ভবনে জানাজা শেষে গোলাম রাব্বানীর মরদেহ আনা হয় প্রিয় আবাহনী ক্লাবে।করোনার কারণে অনেকেই আসতে পারেননি।তবে করোনা-ভয় অনেককে আটকেও রাখতে পারেনি ঘরে।আবাহনী-মোহামেডানের বেশ কয়েকজন ফুটবলার প্রিয় সতীর্থকে শেষবার দেখতে আসেন।যাঁদের মধ্যে আছেন আবাহনীর সাবেক অধিনায়ক কাজী আনোয়ার, খোরশেদ বাবুল, শেখ আসলাম, জোসিম উদ্দিন জোসি, কায়সার হামিদ, ইকবাল হোসেন, মামুন, আলমগীর, মাসুদ রানা প্রমুখ।


গোলাম রাব্বানীর এমন বিদায়ে সাবেক সতীর্থ কাজী আনোয়ার স্মৃতিচারণ করে বলেন,‘হেলাল এমন এক মানুষ ছিল,যাঁকে আপনি কখনো ভুলতে পারবেন না।খুব স্টাইলিশ প্লেয়ার ছিল।শৌখিন, দামি কাপড়চোপড় পরত।ক্লাব থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে যা পেত,সবই কাপড়চোপড়ের পেছনে ব্যয় করত।ছোটদের খুব ভালোবাসত।জার্সি, বুট কিনে দিত।আসলে ওর কথা বলে শেষ করা যাবে না।’


আবাহনীর ম্যানেজার হিসেবে দল তৈরি করতেন হেলাল।নিজের বাসায় নিয়ে খেলোয়াড়দের রাখতেন। মাসুদ রানা, জাকিরদের তখন উঠে আসার সময় এই ফুটবলাররা হেলালের অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছেন।ফুটবলাররা তাঁর বাসায় গিয়ে কিছু পছন্দ করলে হেলাল সেটা দিয়ে দিতেন।উদার মন ছিল তাঁর। ফুটবলারদের নিয়ে নিজের বাসায় গল্প, আড্ডা, খাওয়াদাওয়া...একটা উৎসবেই ডুবে থাকতেন মানুষটি।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন মিডফিল্ডার হেলাল।ছিলেন আবাহনী লিমিটেডের ঘরের ছেলে।১৯৭৫- ১৯৮৮ পর্যন্ত প্রায় একটানা আকাশী নীল জার্সিতে খেলতে দেখা গেছে।

খেলা ছাড়ার পর সংগঠক হিসেবে আমৃত্যু জড়িয়ে ছিলেন ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে।বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন হেলাল।তবে সব ছাপিয়ে তার ফুটবলার পরিচয়টাই বেশি ঝলমলে।

 

সূত্র: প্রথম আলো,দি ডেইলি স্টার

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়