Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১২ নভেম্বর ২০২৫,   কার্তিক ২৮ ১৪৩২

আইনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ২৬ নভেম্বর ২০২০
আপডেট: ১৩:০১, ২৬ নভেম্বর ২০২০

ঠিকমতো খেতে পেতেন না ম্যারাডোনা

বুয়েন্স আয়ার্সের বস্তিতে তার জন্ম। জায়গাটার নাম ভিলা ফিয়োরিতো। অপরাধের জন্য কুখ্যাত। দারিদ্র্যের জন্যও।ঠিকমতো খেতে পেতেন না ম্যারাডোনা।

ম্যারাডোনার বাবা খুব গরীব ছিলেন। চার মেয়ের পর ডিয়েগো দুনিয়াতে আসেন। পরে আরও দুটি ভাই তার সঙ্গী হয়। সংখ্যার সঙ্গে পারিবারিক দারিদ্র্যও সেই পরিমাণেই বেড়েছিল। ঠিকমতো খেতে পেতেন না। টিনের কৌটা নিয়ে সারা দিন রাস্তায় খেলতেন। তারপর আবর্জনার স্তূপের পাশেই ঘুমিয়ে পড়তেন। রাতে কাজ থেকে ফিরে বাবা ডাকতেন, ‘ডিয়েগো কোথায় আছিস, মাথাটা তোল।’

বুয়েন্স আয়ার্সের বস্তি থেকে আক্ষরিক অর্থেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ফুটবল তাকে সেই সাহস দিয়েছিল।

মাত্র ৮ বছর বয়সে তাকে আবিষ্কার করেন ফ্রান্সিসকো কর্নেজো। জুনিয়র দলের কোচ হিসেবে তিনি তখন সারা দেশ ঘুরে প্রতিভা খুঁজছেন।

খুদে ম্যারাডোনাকে প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পরে বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনা জুনিয়র দলের জন্য ট্রায়াল দিতে এসেছিল ম্যারাডোনা। দক্ষতা দেখে মনে হয়নি এ ছেলের বয়স মাত্র ৮। আমি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরিচয়পত্র দেখতে চাইলাম। সে কিছু দেখাতে পারেনি। তার ছোট্ট গড়ন দেখে অবশ্য মনে হয়েছিল মিথ্যা বলছে না। যদিও সে খেলছিল প্রাপ্তবয়স্কদের মতো। যা দেখে আমরা ওর ভক্ত হয়ে গেলাম।’

বিশ্বকাপ অভিষেক ’৮২-তে। ইতালি ও ব্রাজিলের কাছে হেরে বাদ পড়ে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই। ম্যারাডোনা কিছু করতে পারেননি। সব জমিয়ে রেখেছিলেন মেক্সিকোর জন্য। ছিয়াশির বিশ্বকাপেই তিনি ম্যারাডোনা হয়ে ওঠেন। 

আইনিউজ/এইচকে

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়