Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ১১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ১৭ মার্চ ২০২১
আপডেট: ১৪:১১, ১৭ মার্চ ২০২১

সুনামগঞ্জে ২০ হিন্দু বাড়িতে মামুনুল হকের অনুসারীদের হামলা

সংগৃহীত

সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে এক যুবকের ‘অশালীন’ পোস্ট দেয়ার জেরে তার অনুসারীরা সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ২০ টি ঘরবাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়েছে। 

বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগ্রামে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে করে আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মামুনুল হকের অনুসারীরা লঠিসোটা হাতে মিছিল নিয়ে ওই গ্রামে হামলা চালায়।  হামলার আগেই বাড়ি ছেড়ে হাওরে আশ্রয় নেন নোয়াগ্রামের বাসিন্দারা। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) মামুনুল হককে নিয়ে ঝুমন দাস আপন নামের এক যুবক ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। যেখানে মামুনুল হকের অনেক সমালোচনা করেন।

ঝুমন দাসের দেয়া পোস্টকে ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এনে ওই এলাকার হেফাজত নেতার অনুসারীরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত ঝুমন দাস আপন নামের ওই যুবককে আটক করে।

কিন্তু বুধবার জাতির জনকের জন্মদিনের সকালে মামুনুল হকের কয়েক হাজার অনুসারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নোয়াগাও গ্রামে অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় শৈলেন্দ্র দাস, অনিল দাস, দিগেন দাস, হরিপদ দাস, রবিন্দ্র দাস,  রন্টু দাস, অসীম চক্রবর্তী, দেবেন্দ্র কুমার দাস, নগেন্দ্র কুমার দাস, মানকি দাস সহ অন্তত ২০ বাড়িতে হামলা হয়।

ভুক্তভোগী শৈলেন্দ্র দাস জানান, যে ছেলেটি ফেসবুকে লিখেছে তাকে তারা গতকাল ধরে পুলিশে দিয়েছেন। তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছিলো আর কিছু হবে না। কিন্তু সকালেই লাঠিসোঠা নিয়ে কয়েকশ’ মানুষ পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনেই হামলা চালায়। গ্রামের নারীসহ পুরুষরা শিশুদের নিয়ে হাওরের দিকে ছুটতে থাকে। পরে বাড়ি ফিরে এসে দেখে ঘরের আসবাব ভাঙচুর করে লুটপাট চালানো হয়েছে।  এ সময় তিনি অভিযোগ করেন তার ঘরে থাকা স্বর্ণ ও টাকাও লুটে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। 

এমন ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভয়ে ও আতঙ্কে কথাও বলতে পারছে না হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। হামলাকারীরা বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি মন্দির ও ভাঙচুর করেছে।

এদিকে হামলার খবর জানালেও পুলিশ দেরিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের লোকজন। তারা এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলেও জানান হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।

এ বিষয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক গ্রামে হামলার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়