Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৩ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৮ ১৪৩২

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:১০, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
আপডেট: ২১:১২, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন শাল্লার ঝুমন

মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন ঝুমন দাস

মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন ঝুমন দাস

হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তির অপরাধে দীর্ঘ ৬ মাস কারাবরণ করা শাল্লার ঝুমন দাস উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতার মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় শাল্লা উপজেলা নির্বাচন অফিসের হবিবপুর ইউনিয়নে নিজের স্বতন্ত্র প্রার্থীতার মনোনয়ন জমা দেন তিনি।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝুমন দাস নিজেই।

আরও পড়ুন- চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র নিলেন শাল্লার ঝুমন দাস

এ ব্যাপারে ঝুমন দাস বলেন, প্রথমত আমি হবিবপুরবাসী প্রতি কৃতজ্ঞ। এই হবিবপুরবাসীর দেয়া সাহসে আজকে আমি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। আমি এখন সিলেট চলে যাব আমার মামলাটি সিলেটে চলে গিয়েছে সেখানে যাওয়ার জন্য আদালতও আমাকে অনুমতি দিয়েছে আমি সেখান থেকে ফিরে হবিবপুরবাসীকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করব। 

এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলার নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিম বলেন, আজ দুপুরে ঝুমন দাস মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, পরবর্তীতে যাচাই বাচাই শেষে বৈধ প্রার্থীরাই ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। 

আরও পড়ুন- নির্বাচনে নামছেন শাল্লার সেই ঝুমন দাস

এর আগে রোববার (৫ নভেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর কবীর খানের কাছ থেকে ঝুমন দাস মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। 

আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি শাল্লা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ ডিসেম্বর, আপিল ১৩-১৫ ডিসেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ১৮ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৯ ডিসেম্বর  এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ ডিসেম্বর।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর শাল্লা থানা পুলিশের এক অনুষ্ঠানে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন ঝুমন দাস। তবে কোনো রাজনৈতিক দল নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান তিনি।

আরও পড়ুন- জামিন পেলেন ঝুমন দাস

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শানে রিসালাত সম্মেলন নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য রাখেন। ওই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দিরাইয়ের পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস। 

তিনি স্ট্যাটাসে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন। তবে এ সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা বলে এলাকায় অপপ্রচার চালাতে থাকেন মামুনুলের অনুসারীরা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।  

আরও পড়ুন- কারামুক্ত হলেন ঝুমন দাস

পরেরদিন কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝুমন দাসের বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট করে। এরপর ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এই মামলায় কয়েক দফায় জামিন আবেদন খারিজের পর ঝুমন দাস হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

পরে ২৩ সেপ্টেম্বর ঝুমনকে শর্তসাপেক্ষে এক বছরের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতের অনুমতি ছাড়া আগামী এক বছরের জন্য নিজ জেলা সুনামগঞ্জের বাইরে যেতে পারবেন না ঝুমন দাস। 

হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। 

আইনিউজ/এম. আর/এসডিপি 

ঘুরে আসুন মৌলভীবাজারের পাথারিয়া পাহাড়

শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় চতুর্থবার মেয়র হলেন মহসীন মিয়া মধু

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ