Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৩ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৮ ১৪৩২

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

যাদুকাটার বালু মহালের সীমানা নির্ধারণ করে দিলেন জেলা প্রশাসক

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তনদী যাদুকাটার বালু মহাল (এক) দীর্ঘদিন প্রশাসনিক ঝটিলতায় বন্ধ থাকার পর পুনরায় ইজারাদারকে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম সরেজমিনে এসে সার্ভিয়ারের মাধ্যমে ইজারাদারকে নদীর তীরে লাল নিশানা টাঙিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেন।

আরও পড়ুন- সুনামগঞ্জে ইয়াবাসহ ভুয়া পুলিশ আটক

সীমানা নির্ধারণ সমস্যার ব্যাপারে ইজারাদার ও সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বলেন, এ ব্যাপারে ইজারাদার সেলিম আহমদ জানান,  ইজারা পাওয়ার পর এক মাস কাজ করার পর করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে আবার বালি মহাল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আমাদেরকে বিজিবি বালি উত্তোলনে বাধা প্রদান করে। এরপর আবার আমরা আদালতের দারস্থ হই৷ সুনামগঞ্জ বিজিবি'র সিওকে আদালতের মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠাই। এরপরও নানান ভাবে আমাদের শ্রমিকদের বালি উত্তোলনে বাধা প্রদান করতে থাকে। পরে আমরা আবার প্রশাসনকে জানাই। সীমানা জটিলতায় কয়েক মাস যাবৎ আমরা বালি উত্তোলন করতে না পারায় লোকসানের মধ্যে ছিলাম। আমরা সরকারের সকল নিয়ম মেমে খাজনা প্রদান করে ইজারা নিয়েছি। এখন আমাদেরকে আদালত পৃথক দুটি রায় দিয়েছেন ৯০ একর সীমানা পর্যন্ত  বালি উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করে। এই জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে বলেছি আমাদের সীমানা দ্রুত নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য। যাতে করে বালি উত্তোলনে বিজিবি ঝামেলা করতে পারে না। আজকে আমাদেরকে বালি উত্তোলনের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। 

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা এসেছি এখানে ইজারাদারেরও স্বার্থ দেখতে এবং সরকারের স্বার্থও রক্ষা করতে পারি।  যাতে সীমান্তে কোনও ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে।  আমরা ভাল মন নিয়ে এসেছি যাতে সবার স্বার্থ রক্ষা হয় বিজিবি'র সিও এ ব্যপারে আন্তরিক। আমরা ভাল সমাধান চাই এ জন্যই সরজমিনে সীমান্ত দেখতে আসছি। আমরা সরকারের স্বার্থ রক্ষা করে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছি।

আরও পড়ুন- সুনামগঞ্জে আবারও ডুবলো নৌকা : ২১ ইউপি ১৪টিতেই জয়ী স্বতন্ত্র

তিনি আরও বলেন, এখানে নদী চর পড়ে ভরাট হয়ে গেছে কিন্তু আমরা নদী খনন করার মত লোকবল নেই। এখন ইজারাদাররা যদি কিছু বালি অপসারণ করেন তাহলে কিছুটা কাজ হবে। আমি নদী নিয়মিত নদী খননের পক্ষে আমি। যদি নিয়মিত নদী খনন করা হয় তা হলে এই পানি গিয়ে সুরমা নদীতে পড়বে এতে করে হাওরে আর পানি যাবে না। ফসলেরও ক্ষতি হবে না। এখানে সরকারি সকল নিয়ম মেনে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। সীমানা জটিলতায় ইজারাদাররা ঠিক মত তারা ভোগ দখল করতে পারে নাই।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. মাহবুবুর রহমান, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন, ব্যবসায়ী জিয়াউল হক, ইজারাদার মো. আজাদ মিয়া, কাজী ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

আইনিউজ/মোসাইত রাহাত/এসডিপি 

আইনিউজ ভিডিও 

শীতের সকালেও ভোট কেন্দ্রে দলে দলে ছুটেছেন নারী-পুরুষেরা

রাজনগর উপজেলার তাহার লামুয়া নতুন ভোট কেন্দ্র, ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী

নৌকার বিজয় দেখছেন মনসুরনগরের মিলন বখত

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ