আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট: ২০:৫০, ৭ জুলাই ২০২০
চীনে হানা দেয়া নতুন প্লেগ যতটা বিপজ্জনক
ছবি- সংগৃহীত
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে চীন। তবে করোনা ছাড়াও নানা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের হানার মুখে পড়ছে দেশটি। এবার দেশটিতে দেখা গিয়েছে পুরনো মহামারি প্লেগের প্রাদুর্ভাব। গত নভেম্বরে আক্রান্ত চার প্লেগ রোগীর মধ্যে দুই জনের ছিল নিউমোনিক প্লেগ। আর বাকিদের ছিল বিউবোনিক প্লেগ। তাই করোনাকালে ছড়িয়ে পড়া বিউবোনিক প্লেগের বিপদজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
মধ্যযুগে বিউবোনিক প্লেগকে ব্ল্যাক ডেথ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এটি ছোঁয়াচে রোগ হিসেবে বিবেচিত। মূলত ইঁদুর, কাঠবেড়ালি জাতীয় প্রাণী থেকে বিউবোনিক প্লেগ ছড়ায়।
এ প্লেগে আক্রান্ত মাছি কাউকে কামড়ালে রোগটি সংক্রমিত হতে পারে। এতে ওয়াই পেসটিস শরীরে ঢুকে যায়। আর লসিকা নালী দিয়ে বাহিত হয়ে গ্রন্থিতে চলে যায়। সেখানে নিজের ক্লোন তৈরি করে। লসিকা গ্রন্থি তখন ফুলে যায়। ব্যথা শুরু হয়। এর নামই বিউবো।
এ ভাইরাসের সংক্রমণে অ্যাডভান্সড স্টেজে লসিকায় ঘা হয়ে পুঁজে ভরে যায়। তবে রোগটির সংক্রমণ মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে বিশেষভাবে দেখা যায় না। ব্যাকটিরিয়া ফুসফুসে পৌঁছালে বিউবোনিক প্লেগ নিউমোনিক প্লেগের চেহারা নিতে পারে।
নিউমোনিক প্লেগ সবধরণের প্লেগ প্রজাতির মধ্যে ভয়ানক বা বিপদজ্জনক। কাশির মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে। বিউবোনিক প্লেগে মৃত্যুর হার ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। তবে নিউমোনিক প্লেগের চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই নিউমোনিক সবচেয়ে ভয়াবহ।
বিউবোনিক ও নিউমোনিক জাতীয় প্লেগ শুরু দিকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তবে প্লেগ দ্রুত ছড়াতে পারে। প্লেগ আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেশনে রাখতে হয়। চিকিৎসকেরা করোনা রোগীর চিকিৎসার মতোই প্লেগ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হয়।
প্লেগের লক্ষণগুলো হচ্ছে- আচমকা ধুম জ্বর অনুভূত, মাথায় ও গোটা শরীরে যন্ত্রণা, দুর্বলতা, বমি, বা বমি বমি ভাব। এছাড়া লসিকা গ্রন্থি ফুলে ব্যথা হতে পারে।
নিউমোনিক প্লেগের লক্ষণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেখা দেয়। শ্বাস বা কাশি দিতে কষ্ট হয়। থুতুতে রক্ত উঠতে পারে। এমনকি প্লেগে আক্রান্ত রোগীর মরদেহ থেকে রোগটি ছড়াতে পারে। তাই মরদেহ বহনকারীরা ঝুঁকিতে থাকেন।
চতুর্দশ শতকে ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু হয় বিউবোনিক প্লেগে। এ রোগ তিনবার অতিমারীর আকার নিয়ে কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মতো বিউবোনিক প্লেগের জন্ম হয় দক্ষিণ পশ্চিম চীনে। দেশটির ইউনান থেকে আফিং ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ১৮৯৪-এ এ রোগ বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। এতে তৃতীয় প্লেগ অতিমারি শুরু হয়।
২০১০ থেকে ২০১৫-র মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তিন হাজার ২৪৮ জন এ রোগে আক্রান্ত হন। মারা গেছেন ৫৮৪ জন। রোগটির মৃত্যুর হার ১৮ শতাংশ।
সূত্র- এবিপি ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
আইনিউজ/এসবি
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’
- পঙ্গপাল না মেরে বিক্রি করে আয় করছেন কৃষকরা!